
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিগত সরকারের সময় দলীয় পরিচয়ে অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতির অভিযোগ তদন্তে নড়েচড়ে বসেছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সহকারী পরিচালক থেকে পরিচালক পর্যন্ত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করতে সংস্থাটি সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গত ১৬ মার্চ গঠিত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিটিআরসির আইন ও লাইসেন্সিংবিষয়ক মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০০৯-১০ সালে টেলিযোগাযোগ খাতের একটি প্রকল্প থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নিরীক্ষা আপত্তির মুখে ছিল। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়োগ পরীক্ষার বাইরে বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং ২০২১ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে শতাধিক কর্মকর্তার নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী নেতাদের সুপারিশে প্রায় এক ডজন কর্মকর্তা বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
গত ১২ মার্চ দৈনিক যুগান্তরে ‘বিটিআরসিতে ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল তবিয়তে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ১৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি গঠনের অফিস আদেশ জারি করে বিটিআরসি।
গত আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে আসা বিটিআরসির কর্মকর্তারা অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে জানান, কীভাবে তারা দীর্ঘদিন ধরে পদায়ন ও পদোন্নতিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এক কর্মকর্তা জানান, ‘প্রকল্প থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা আওয়ামী লীগের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ ছিলেন, যাতে বিটিআরসিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে টেলিযোগাযোগ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।’