
প্রিন্ট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
নতুন দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: জামায়াত আমির

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে এমন লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে যারা আল্লাহকে ভয় পান। সে বৈশিষ্ট্যের লোক তৈরির জন্যই আল্লাহ আমাদের রমজানের মতো নিয়ামত দান করেছেন। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য সবাইকে ইসলামের ছায়াতলেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল ৪নং কমিউনিটি সেন্টারে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাফরুল উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শূরা সদস্য আব্দুল মতিন খান ও আহসান হাবিব, থানা নায়েবে আমির আলাউদ্দিন প্রমুখ।
জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াত কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত করার দীর্ঘ পরিসরে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা বলেন, রমজান আমাদের পরিশুদ্ধ হওয়ার জন্য দান করা হয়েছে। তাই এ মাসে সিয়াম-কিয়ামসহ বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজেদের নাজাতের পথ তৈরি করতে হবে। তিনি রমজানের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে সারাহ কুকের বৈঠক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মিসেস সারাহ কুক। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানায়, বৈঠককালে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে পরস্পর কুশলবিনিময় করেন এবং অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আগামী নির্বাচন, মানবাধিকার, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তারা গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নত ও সুদৃঢ় করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
এ সময় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মি. টিমোথি ডকেট উপস্থিত ছিলেন।