Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

বিগত সরকারের ঋণের দায়

৩৮৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে বিগত সরকারের নেওয়া ঋণের দায় পড়েছে বর্তমান সরকারের ওপর। বিগত সরকার বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ নিয়ে তা লুটপাট ও বিদেশে পাচার করেছে। বর্তমান সরকার নতুন ঋণ নিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করছে। ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারের ব্যয় কমলেও এবং কৃচ্ছ সাধনের পরও সরকারকে নতুন ঋণ নিতে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় কোনো ঋণ নিচ্ছে না। বরং আগের সরকারের নেওয়া ঋণ এখন পরিশোধ করছে। রোববার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরকার বেশির ভাগ ঋণ নিচ্ছে বন্ড ও ট্রেজারি বিল বিক্রি করে। আগের মতো সরাসরি কোনো ঋণ নিচ্ছে না। ফলে ব্যাংক খাতে তারল্য ব্যবস্থাপনার ওপর কোনো চাপ বাড়ছে না। উলটো আগের সরকারের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করার কারণে ব্যাংক থেকে তারল্যের জোগান বেড়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেছে ৫৮ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকার জুলাই মাসেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ গ্রহণ করেছিল। বর্তমান সরকার ছাপানো টাকায় নতুন কোনো ঋণ গ্রহণ করেনি। তবে লুটপাটের কারণে তারল্য সংকটে ভোগা ব্যাংকগুলোকে ছাপানো টাকায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক খাত থেকে সরকার চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে নিয়েছে ৬১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতের ঋণ পরিশোধ করেছে ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং নন-ব্যাংক খাতের ১২ হাজার কোটি টাকা। দুই খাতে মোট ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ফলে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার পরিমাণ হচ্ছে ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় বেশ কম।

এদিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এদিকে বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান বাড়তে শুরু করেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম