চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিঅ্যান্ডএফ) নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন একাধিক সিঅ্যান্ডএফ মালিক। কাউকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করলেও তাদের কাছ থেকে তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। একাধিক সিঅ্যান্ডএফ মালিক অভিযোগ করেছেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগীরা যেমন আছেন, তেমনই আবার সরকারের পট পরিবর্তনের পর নতুন রূপে আবির্ভূত হওয়া প্রভাবশালী একটি পক্ষ বিনা ভোটে এই সংগঠনের নেতৃত্ব কবজায় নিতে বল প্রয়োগ শুরু করেছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু যুগান্তরকে বলেন, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, নির্বাচনের জন্য গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শরীফের কাছ থেকে বিভিন্ন পদের জন্য ফরম গ্রহণ করার পর চারটি প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে সব ফরম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিলফা বাংলাদেশ লিমিটেড, এনএন এন্টারপ্রাইজ, আকফা ট্রেড এবং একেএস-এর মালিকের কাছ থেকে জোরপূর্বক মনোনয়ন ফরম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার অনুসারীরা নিজেদের পছন্দের লোকদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করতেই বলপ্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছেন।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের (২০২৫-২০২৭) ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী বুধবার ছিল ফরম বিক্রির প্রথম দিন। আগ্রাবাদে অবস্থিত সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারে এ ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। তফশিল অনুযায়ী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ফরম সংগ্রহ, ৩০ জানুয়ারি দাখিল এবং ২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার ফরম বিক্রির প্রথম দিনেই মনোনয়ন ফরম গ্রহণে বাধা এবং ফরম কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটনায় সাধারণ সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা আদৌ নির্বাচন করতে দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শরীফের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ সংগঠনে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে রয়েছেন মোহাম্মদ নুরুল আবসার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। সভাপতি আকতার হোসেন ও সিনিয়র সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।