ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ২৬৪ কোটি ডলার
এক বছরে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩২.৫৪%

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিদায়ি বছরের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই আয় এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের জোরালো প্রবাহ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। দেশে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ২৫৯ কোটি ডলার।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এলো, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। আর ২০২৩ সালের নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার এসেছিল। সেই হিসাবে নভেম্বরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা ২০২৩ সালের একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয় সঠিকভাবে দেশে ফেরাতে হলে হুন্ডি শতভাগ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।