অসহায়ের পাশে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন: সালমা ইসলাম
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের পক্ষে দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। রোববার দুপুরে নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি মাঠে -যুগান্তর
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জবাসীর উদ্দেশে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেছেন, আপনাদের সন্তান মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সবসময় আপনাদের কথা চিন্তা করতেন। অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন সারাজীবন। তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি ‘নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেছি। উদ্দেশ্য সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা। সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকা। নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রোববার সকালে শীতবস্ত্র বিতরণকালে নবাবগঞ্জের পুরাতন বান্দুরার তালতলায় এসব কথা বলেন সালমা ইসলাম। এছাড়া এদিন তিনি নয়নশ্রী, বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
সালমা ইসলাম আরও বলেন, আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গেই থাকতে চাই। নবাবগঞ্জের মানুষগুলোর মুখে হাসি দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। তাই আপনাদের সেবা করতে পারছি। আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন সবসময় এভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।
কম্বল পেয়ে খুশি ষাটোর্র্ধ্ব আম্বিয়া খাতুন। তিনি বলেন, গতবারও সালমা ম্যাডাম একটি কম্বল দিয়েছিলেন। কিন্তু একটি কম্বলে শীত মানে না। আজ রাতে আরামে ঘুমাতে পারব।
বান্দুরায় কম্বল নিতে আসা সামসুল হক বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করে কোনোমতে সংসার চালাই। অসুস্থ, তাই হাঁটতে পারি না। অসুস্থ শরীরে শীতে খুব কষ্ট হয়। সালমা আপা তো প্রতিবছর আমাগো কম্বল দেয়, আবারও আশায় আছিলাম, আজ আইছি কম্বল নিতে। আপা নিজ হাতে আমাকে কম্বল দিছে। দোয়া করি, আল্লাহ যেন ওনাকে শত শত বছর বাঁচিয়ে রাখে।’
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন এ অঞ্চলের সুশীল সমাজের লোকজনও। তারা বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জে অনেক ধনী মানুষ রয়েছেন। কিন্তু কেউ এখানকার অসহায়দের কথা চিন্তা করেন না। সালমা ইসলাম ব্যতিক্রম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানবসেবা করে যাচ্ছেন। অন্যরাও যদি তাকে অনুসরণ করেন, তাহলে অসহায় মানুষকে আর কষ্টে থাকতে হবে না।