
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের আগ্রাসন ও আধিপত্য চলছে। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্য ভারত দায়ী। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কি কি চুক্তি রয়েছে সেগুলো প্রকাশ করতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্য বিরোধী জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যবহার করতে পারবে না। তাই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে ভারত। পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। আমরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আহ্বান জানাব, তারা যেন তদন্ত করে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করেছে। বিজিবিকে বলব বিএসএফ একজনকে গুলি করলে আপনারা দুই জনকে গুলি করবেন। কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই।
নুর আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারছে না। তারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ না করে তারা তাদের চায়ের আড্ডার লোকদের নিয়ে সরকার গঠন করছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন না করে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা না শুনে তারা তাদের মতো কাজ করছে। উপদেষ্টাদের বুঝতে হবে তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা কি, জনগণের পালস্ না বুঝে কাজ করলে জনগণ তো সরকারের বিপক্ষে যাবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা টানা লড়াই করেছি। অসংখ্য সহযোদ্ধা ত্যাগ শিকার করেছেন। গণঅভ্যুত্থানের বীজ ২০১৮ সালে আমরা বপন করেছি। কিন্তু যে সরকার গঠিত হলো, এখানে সব বিপ্লবীদের প্রতিনিধি কোথায়? ৭১ এর পরে যেভাবে একপাক্ষিক সরকার গঠিত হয়েছিল। ঠিক এবারও তাই হয়েছে। বিপ্লব বেহাত হয়ে গেছে। আমাদের স্পষ্ট কথা, গণহত্যার বিচারের আগে নামে-বেনামে, ডামি-মামি, স্বতন্ত্র কোনোভাবেই আ.লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দলের প্রেতাত্মারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ হাসান আল মামুন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস, হোসাইন নুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মুন, অর্থ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি রাহুল ইসলাম।