Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

জলবায়ু ফান্ড ছাড়ের দাবিতে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন বাংলাদেশের: রিজওয়ানা

কপ-২৯ সম্মেলন

Icon

আলমগীর মিয়া, বাকু (আজারবাইজান) থেকে

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ-২৯) দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় দিন বুধবার বেশ কয়েকটি সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রাপ্য জলবায়ু ফান্ডের অর্থ ছাড়ের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। সংগঠনগুলোর মধ্যে পরিবেশবাদী কোরিয়ান সংগঠন কে-গ্রিন ফাউন্ডেশন, গ্রিন ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাজ করা আজারবাইজানের পরিবেশবাদী সংগঠন ইরাসমাস স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক এবং আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। প্রতিদিন সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ করছেন। এদিকে-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা কম, এজন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। বিকালে বাকুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতি বছর বাংলাদেশের যে ক্ষতি হয়, সে অনুযায়ী অর্থ পাওয়া যায় না।

আজারবাইজানের সংগঠনের দাবি, সবুজ পৃথিবী গড়তে বাকু সম্মেলনের মধ্যদিয়ে অবশ্যই জলবায়ু ফান্ড দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে এ সুন্দর পৃথিবী ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। আর কোরিয়ান সংগঠনের দাবি-ফান্ড ছাড়ে বড় বাধা হলো যুক্তরাষ্ট্র। অথচ বড় বড় দেশ বাতাসে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ছে। কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ বন্ধের দাবিও জানায় সংগঠনটি। কে-ফাউন্ডেশনের দাবি, জলবায়ুর অর্থ আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথ। সুতরাং ফান্ডের অর্থ সবাইকে বিলিয়ে দাও।

বিকালে বাকুতে সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা কম। এজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহায়তা। তবে সেই সহায়তা হতে হবে অনুদান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতি বছর বাংলাদেশের যে ক্ষতি হয়, সে অনুযায়ী বাংলাদেশ অর্থ পায় না। একই সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞাও ঠিক করা হোক। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়েড গোলের (এনসিকিউজি) আওতায় পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অভিযোজন, প্রশমন ও ক্ষতিপূরণের জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন এবং প্রশমনের জন্য স্বল্প সুদের ঋণের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এনসিকিউজির আওতায় সরকারি অর্থায়নই প্রধান উৎস হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম