চিহ্নিত করা হবে ফ্যাসিবাদী বয়ান দেওয়া গণমাধ্যম: প্রেস সচিব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় কে কি করেছেন, তা লিপিবদ্ধ করা হবে। যারা ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি করেছেন তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে। বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর উদ্যোগে ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা : জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম আরও বলেন, যারা গুম হয়েছেন, তাদের নিয়ে কারা কটূক্তি করেছেন সেটা জানা উচিত। শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করব। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রতিটির বিবরণ আছে। কে কি বলেছেন, প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে কার কি ভূমিকা ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু ১৫ বছরে কি ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।
‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’র আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এসএম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, নিউ এইজ সিনিয়র সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।