তিন হজ প্যাকেজ ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির
প্রথম প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার ও সাধারণ হজ এজেন্সি দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর বিপরীতে তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকরা। সাধারণ হজ প্যাকেজ, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে সংগঠনটি বলছে, উচ্চ আদালতের রায়ে হজ এজেন্সির একটি অংশ হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ রয়েছে। তাই ওই অংশের হজ প্যাকেজ দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজের মূল্য আরও কমানোর দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পালটা হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকরা। এর আগে বুধবার সাধারণ হজ এজেন্সি মালিকদের ব্যানারে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে অন্য এজেন্সির মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকদের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান বলেন, সংকটাপন্ন হজ ব্যবস্থাপনা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। গত বছরের চেয়ে এবার হজের খরচ কমানোয় আমরা যেমন খুশি, তেমনই এ খরচ আরও কমানোর দাবি জানাচ্ছি। এরপর তিনি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। প্রথম প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজের ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ১ লাখ ২৭ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হজ পালনের কোটা থাকলেও গত কয়েক বছরে হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্য, বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নৈরাজ্যের কারণে ২০২৪ সালে ৪৫ হাজার নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ পালনে ব্যর্থ হন। এ কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য হজ প্যাকেজ আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে হবে।
তারা বলেন, এ বছর বিমান ভাড়া ও হজ প্যাকেজে কিছুটা কমতি আনা হলেও তা এখনো সব মানুষের সাধ্যের মধ্যে নেই। বিগত সরকারের সময় হঠাৎ করে শুধু বিমান ভাড়া ৫৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া তাদের গড়া সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপে এ ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা বলেন, হজ পালনে আরও সুলভ ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে এবং হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান ভাড়া এবং সৌদি পক্ষের মুয়াল্লিম ফি, ১৭.৫০% ভ্যাট/ট্যাক্স কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত ওই কর কমাতে পারলে হজ খরচ কমিয়ে আনা যেতে পারে। তাছাড়া ডলার এবং সৌদি রিয়ালের মূল্যবৃদ্ধির কারণও হজ খরচ বাড়ার জন্য দায়ী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকদের আহ্বায়ক মো. আখতার উজ্জামান, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী, হাবের চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পেয়ারু, হাবের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এ সময় অনেক হজ এজেন্সি মালিক উপস্থিত ছিলেন।