পীরগঞ্জে আবু সাঈদ হেলথ ক্যাম্প
আমলাতান্ত্রিকতার ঘেরাটোপে সংস্কার যাতে সীমিত না হয়: হোসেন জিল্লুর
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তো বটেই ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তারা যেন রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় ধরনের স্টাইলের পরিবর্তন নিয়ে আসেন। এজন্য ‘আমলাতান্ত্রিকতা ও কেতাবি সমাধানের ঘেরাটোপ’ থেকে দেশকে মুক্ত করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। শনিবার পীরগঞ্জে আবু সাঈদ হেল্থ ক্যাম্প শেষে রংপুর নগরীর দর্শনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে হোসেন জিল্লুর এ কথা বলেন।
ব্র্যাকের চেয়ারপারসন বলেন, জোরালোভাবে দেখার চেষ্টা করছি যে, ঢাকায় যেগুলো শুনছি সেগুলো মাঠে কতটুকু প্রতিফলিত হচ্ছে। মাঠের বাস্তবতার আলোকে ঢাকার আলোচনা পরিচালিত হচ্ছে কিনা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি যে, মাঠের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে ঢাকার আলোচনাগুলো হতে হবে। মাঠের সঙ্গে কেন্দ্রের ব্যবধান কমিয়ে আনা দরকার। বিশেষ করে মাঠ বাস্তবতায় যারা আছেন এবং সরকারের হয়ে যারা মাঠে কাজ করছেন তাদের কথা শুনতে হবে। তা না হলে আমলাতান্ত্রিকতার ঘেরাটোপে সংস্কারের যে বড় আকাঙ্ক্ষা তা সীমাবদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
হোসেন জিল্লুর বলেন, আত্মদানের মধ্য দিয়ে ‘আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই’ এই আকাঙ্ক্ষা উচ্চারিত হয়েছে। সরকার চালানোর স্টাইল হয়ে গিয়েছিল আমলাতান্ত্রিকতা ও মাঠ বাস্তবতার সঙ্গে সম্পৃক্ততা কম রাখা। আমলা নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা হলো আমলাতান্ত্রিকতা নিয়ে। যেখানে ফলাফল কি হলো তার চেয়ে বেশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা এতটুকুতে তারা বেশি আগ্রহী। তিনি বলেন, একটি হাসপাতালে বরাদ্দ দিয়ে বেশি সন্তুষ্ট থাকব, নাকি সাধারণ মানুষ সেবা পেয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করব-এখন এটা বড় প্রশ্ন।
সব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের কথা জানিয়ে হোসেন জিল্লুর বলেন, জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হবে, এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামাজিক পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে টেকওভারের যে স্বপ্ন দেখি সেজন্য দরকার সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ। এর আগে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) আয়োজনে পীরগঞ্জে দুই দিনব্যাপী ‘শহিদ আবু সাঈদ হেলথ ক্যাম্প’র উদ্বোধন করেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এতে অংশ নেন দেশের সেরা চিকিৎসকরা। হেলথ ক্যাম্প থেকে চিকিৎসাসেবা নেন প্রান্তিক পর্যায়ের ১৮০০ মানুষ।