Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জে আরেক মামলা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, দোহার-নবাবগঞ্জ

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জে আরেক মামলা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দাড়ি কামিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন সালমান এফ রহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা, ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার কলাকোপা খন্দকার হাটি গ্রামের এসএম আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা আইনে নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২৩৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৩শ থেকে ৪শজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন-সাবেক এমপি খন্দকার হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, দোহার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৩০ জুলাই উপজেলা নবাবগঞ্জ পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে যান বাদীসহ ছাত্র-জনতা। এ সময় সালমান এফ রহমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্র, বিস্ফোরক ও লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ নেতাকর্মীরা গুলি ছোড়ে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। হামলায় বাদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। ছাত্র-জনতা এদিক-ওদিক ছুটে চলে যান। বাদীকে একা পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিটিয়ে পা ভেঙে আহত করে। পরে মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা তুলে নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করে ২৫ আগস্ট দোহার থানায় ও ২ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেলসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা : টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, ২০ জুলাই টঙ্গীর গাজীপুরায় গুলি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক কর্মীকে গুরুতর জখম করার অভিযোগে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। রোববার টঙ্গী পশ্চিম থানায় আহত ইমনের মা টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার জরিনা বেগমের করা এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মতিউর রহমান মতিসহ ৪২ জনকে শনাক্ত আসামি ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০ জুলাই বিকালে ইমন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র ও জনতা একত্রিত হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার গেটের সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে ১ ও ২নং বিবাদীর হুকুমে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর লোহার রড, পাইপ, কাঠ ও বাঁশের লাঠি, ধারালো ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে ইমন দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন ইমনের জীবন আশঙ্কাজনক বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাকির হোসেন যুগান্তরকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম