Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

কি করবেন

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ঘাম হয় না

Icon

অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহামুদ আরাফাত

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ঘাম হয় না

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর শরীরে সাধারণত ঘাম হয় না। শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে শরীর কাঁপা, সময়, স্থান ও ব্যক্তি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান কমে যাওয়া, শারীরিক অস্থিরতা এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। হিটওয়েভের কারণে মৃদু লক্ষণ থেকে মারাত্মক সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সারা পৃথিবীতে তাপপ্রবাহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও ক্রমান্বয়ে হিট ওয়েভ ও জনজীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব বেড়েই চলেছে।
শিশু, বৃদ্ধ (বয়স ৬৫ বছরের বেশি), অতিরিক্ত স্থূল ব্যক্তি, উচ্চরক্তচাপযুক্ত ব্যক্তি, হার্টের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, অ্যাথলেটস বা ক্রীড়াবিদ, বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন এমন ব্যক্তির হিটওয়েভে আক্রান্তের শঙ্কা সব চাইতে বেশি।
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ মেডিসিন ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন, অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত। পরামর্শগুলো হচ্ছে-১) একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাসার বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি দিনে বাইরে যেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। ২) গরমে প্রচুর ঘাম হয়, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, শুধু পানির পরিবর্তে স্যালাইন খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী হবে। ৩) হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। কালো রংয়ের পোশাক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। ৪) অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের কাজ যারা করেন, তারা একাধারে কাজ না করে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন এবং স্যালাইন পান করবেন। ৫) বাসায় থাকার সময় যতটা সম্ভব উত্তপ্ত স্থান যেমন রান্নাঘরে কম সময় অবস্থান করতে হবে, এবং মাঝে মাঝে ফ্যান বা এসিযুক্ত রুমে বসে বিশ্রাম নিতে হবে। ৬) যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা দিনে ব্যায়াম না করে সন্ধ্যায় বা রাতে ব্যায়াম করবেন। ৭) অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
হিটওয়েভে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে করণীয় : ১) প্রথমে আক্রান্ত রোগীকে সূর্যের আলো থেকে সরিয়ে ছায়াযুক্ত ঠান্ডা স্থানে নিতে হবে। ২) তার পরনের কাপড় যতটা সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। ৩) তার বগলের নিচে, কুচকিতে এবং ঘাড়ে বরফের প্যাক দিয়ে ধরে রাখতে হবে। ৪) শরীরে ঠান্ডা পানি স্প্রে করতে হবে। ৫) সম্ভব হলে সারা শরীর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। ৬) সম্ভব হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে এসিযুক্ত বা ফ্যান আছে এমন রুমে নিয়ে রাখতে হবে। ৭) শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কোনোভাবেই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না। ৮) অতিসত্বর তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। শিরাপথে সরাসরি ঠান্ডা স্যালাইন দিতে হবে। প্রয়োজনে অক্সিজেন দিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহামুদ আরাফাত
প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ
বিএসএমএমইউ
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম