শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের এই দিনে (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রথিতযশা বাঙালি এই রাজনীতিক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) নামে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলার বাঘ নামে পরিচিত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা এবং উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসাবে প্রায় অর্ধশতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালোবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তিনি এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত করবে দলটি। এতে কেন্দ্রীয়সহ দলের সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে শেরেবাংলা অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র, আইনসভার সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তার অবদান ছিল। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন।