Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

চারটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

টাঙ্গাইলে ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁ অগ্নিঝুঁকিতে

Icon

জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

টাঙ্গাইলে ৫ শতাধিক রেস্তোরাঁ অগ্নিঝুঁকিতে

ঢাকার বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বেইলি রোডের মতো টাঙ্গাইলের পাঁচ শতাধিক হোটেল রেস্তোরাঁসহ বহুতল ভবন অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

জানা যায়, শহরের অনেক বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে রেস্তোরাঁ আছে। অপরিকল্পিতভাবে অনেক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনে পর্যাপ্ত ‘ভেন্টিলেশন’ নেই, সিঁড়ি একটা। আবার অনেক ভবনে অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সেফটি প্ল্যান নেই। রেস্তোরাঁগুলোতে পর্যাপ্ত ‘ফায়ার এক্সটিংগুইশার’ নেই। অনেকেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে। আবার অনেকে এলপিজি গ্যাসের পরিবর্তে উচ্চঝুঁকির সিএনজি গ্যাস ব্যবহার করছে। এসব ভবন ও রেস্তোরাঁয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে।

এদিকে টাঙ্গাইলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় চার রেস্তোরাঁ মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সুরুচি রেস্তোরাঁকে এক লাখ, সুগন্ধা ও ঝাউবন রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার টাকা করে এবং সেফাত রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, বহুতল ভবন ও অভিজাত রেস্তোরাঁ করার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। শহরের অনেক বহুতল ভবন ও রেস্তোরাঁয় তেমন কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। তাই সবাইকে এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। জেলা রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ জানান, সমিতির আওতায় ১৬০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর বাইরেও জেলায় চার শতাধিক রেস্তোরাঁ আছে।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. রবিউল আওয়াল বলেন, রোববার যে কয়টা রেস্তোরাঁ পরিদর্শন করেছি, তার সবক’টি অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক ভবন ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেয়নি। অনেক ভবনেই সিঁড়ি রয়েছে একটি।

তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া যেসব ভবন করা হচ্ছে তাদের সেফটি প্ল্যানের মাধ্যমে ভবন নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত নোটিশ দেওয়া হয়। যারা এই আদেশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ১০ তলা কোনো ভবনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে ঢাকায় চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মদ আলী বলেন, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ এবং নির্বাপণের যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে সেখানে কোনো ঘাটতি আছে কিনা বা ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে মনিটর করা হচ্ছে। তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি আমরা অর্থদণ্ড প্রদান করছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম