Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

কুসিক মেয়র পদে উপ-নির্বাচন

আলোচনায় চার হেভিওয়েট প্রার্থী

Icon

আবুল খায়ের, কুমিল্লা ব্যুরো

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আলোচনায় চার হেভিওয়েট প্রার্থী

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন চার হেভিওয়েট প্রার্থী। বিএনপির বহিষ্কৃত নিজাম উদ্দিন কায়সার ও মনিরুল হক সাক্কু এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নিজ নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে টানতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় পালটে যেতে পারে হিসাব-নিকাশ। মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সূচনা। আর বিএনপি-জামায়াতের সিংহভাগ নেতাকর্মীদের পাশে পেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে কায়সার। অপরদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এগুচ্ছেন সাক্কু এবং তানিম।

জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) তফসিল ঘোষণার পর কে হবেন পরবর্তী মেয়র- এ নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে অফিসপাড়া পর্যন্ত চলছে নানা আলোচনা। প্রার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম হিসাব মেলাতে এখন ব্যস্ত নগরবাসী। এই নির্বাচন ঘিরে এখন চার প্রার্থী রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রে। এ পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন- সাবেক মেয়র বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু, এমপি বাহারের বড় মেয়ে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম ও মো. মাইন উদ্দিন। এই ছয়জনের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন নিজাম উদ্দিন কায়সার, মনিরুল হক সাক্কু, ডা. তাহসিন বাহার সূচনা ও নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম।

নতুন কুমিল্লা গড়ার অঙ্গীকার কায়সারের : বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনেকটাই চমক সৃষ্টি করেছেন নিজাম উদ্দিন কায়সার। দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন ছাড়াই প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন। কিন্তু এবারের হিসাব ভিন্ন। প্রতীক বিহীন ওই নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন এবার কায়সারের অনুকূলে। এবারের ভোটে জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী কায়সার। তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করেছি। মানুষ আমাকে মন থেকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। গতবারের ভুলগুলো সংশোধন করে এবার ইনশাল্লাহ বিজয়ী হব। তিনি বলেন, পরিবর্তনের প্রত্যয়ে নতুন প্রজন্মের সমর্থন নিয়ে আমি নির্বাচন করব। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, আমি এক নতুন কুমিল্লা গড়তে চাই। কুমিল্লাকে নতুন করে সাজাতে কাজ করব।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সাক্কু : মনিরুল হক সাক্কু বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পেশিশক্তির প্রভাব কেমন হবে তার হিসাব নিকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার কাজ দিয়েছিলেন। সে নিরিখে আমি সিটির উন্নয়নে পরিকল্পনা করেছি, কিন্তু শেষ করতে পারিনি। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই এবারের নির্বাচনে অংশ নেব। তিনি বলেন, এই নগরী আমার চেনা। এই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে আমি কাজ করেছি। গত দেড় বছর নগরীতে তেমন কাজই হয়নি, এটা নগরবাসী বুঝে গেছে। ফলে তারা আবার আমাকেই চায়। আমি নগরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।

নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করতে চান সূচনা : নির্বাচনের মাঠে একেবারেই নতুন মুখ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা। তিনিই এখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় ডা. সূচনা বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের মাঠে প্রার্থী হিসাবে নতুন হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চেয়ে গণসংযোগ, কিংবা তার আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারে নেমে ভালোই অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার মাধ্যমে তিনি নিজের পরিচয় গড়ে নিয়েছেন। করোনাকালে নগরবাসী তার সেবা গ্রহণ করেছে। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যপারে সূচনা বলেন, আমি নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কুমিল্লাকে আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করতে চাই। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। সেবা করার মানসিকতা আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। আশা করছি, নগরবাসী আমাকে সুযোগ দেবে।

একবার সুযোগ চান তানিম : নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, আমি নগরবাসীর সেবা করতে কতটুকু সক্ষম দেখানোর জন্য একবার সুযোগ চাই। শৈশব থেকে নগরীর অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার দক্ষতা দেখাতে চাই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। পরে এ বছরের ২৪ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। ৯ মার্চ ইভিএমে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম