Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

নিশ্চুপ কেডিএ কর্তৃপক্ষ

স্বাক্ষর জাল করে প্লট একত্রীকরণের অভিযোগ

Icon

নূর ইসলাম রকি, খুলনা

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্বাক্ষর জাল করে প্লট একত্রীকরণের অভিযোগ

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) প্লট একত্রীকরণ ও বিভাজনের জন্য মালিকদ্বয়ের সশরীরে উপস্থিত থাকা এবং জমির মূল্যের তিন থেকে সাত ভাগ টাকা রাজস্ব কোষাগারে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে কেডিএ কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে প্লটের মালিক বিদেশে থাকলেও স্বাক্ষর ও টিপসই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এই নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। ফলে লাখ লাখ টাকা দিয়ে কেডিএ’র প্লট কিনে বিপাকে পড়ছেন মালিকরা। জানা যায়, কেডিএ’র নিরালা আবাসিক এলাকার ২৫নং রোডের ৪৬৩ এবং ৪৬৪ নং প্লট একত্রীকরণ করে প্ল্যান অনুমোদন না করতে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন ১০ জন মালিক। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, নানাবিধ অনিয়ম ও ভিন্ন মতের কারণে এই প্লট দুটি তারা একত্রীকরণ করতে রাজি নন। গত ১৯ নভেম্বর আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হয়। কেডিএ কর্তৃপক্ষ আবেদনটি আমলে না নিয়ে সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করে নকশা অনুমোদনের সুপারিশ করে আবেদনের আট দিনের মাথায়। প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির সয়েল টেস্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে ভবনের নকশা প্রস্তুত করেন।

এ ঘটনায় মো. শরিফুল ইসলাম নামে এক ভূমি মালিক গত ৩ ডিসেম্বর কেডিএ চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন করেন। প্লট দুটি একত্রীকরণ বাতিলসহ পূর্বের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে আবেদন করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি ২৫ নং রোডের ৪৬৩ নম্বর প্লটের ভূমি মালিকদের একজন। কিছু ভূমি মালিক তার স্বাক্ষর এবং টিপসই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কেডিএতে প্লট একত্রীকরণের কাজ করেছে। অথচ ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই কেডিএতে একত্রীকরণের জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল তখন তিনি চীনে অবস্থান করেছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্লট দুটিতে ভূমি মালিক ৩৩ জন। একটি চক্র কিছু ভূমি মালিকের স্বাক্ষর জাল করে রাতারাতি কেডিএ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে একত্রীকরণের পর নকশার অনুমোদন নিয়েছে। এর ফলে অনেক ভূমি মালিক চক্রটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। অভিযোগ রয়েছে, চক্রটি ভূমি ক্রয় করার সময় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা কমিশন নেয়। পুনরায় এটা একত্রীকরণ করলে নির্মাণ এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নামে হরিলুট করার সম্ভাবনা রয়েছে। চক্রটির সঙ্গে কেডিএর কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক থাকায় রাতারাতি সব বাধা উপেক্ষা করেই কাজগুলো হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, কেডিএ কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও না জানার মতো রয়েছেন।

এ বিষয়ে মো. শরিফুল ইসলাম বুধবার সকালে যুগান্তরকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্লট একত্রীকরণের জন্য সব মালিকের উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু আমি দেশের বাইরে থাকার পরও কীভাবে এটা হলো বুঝলাম না। এছাড়া এই প্লট দুটি একত্রীকরণ না করার জন্য একাধিক ভূমি মালিক আবেদন করলেও সেটা আমলে না নিয়ে নকশার অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্বাক্ষর ও টিপসই জাল করে এটা করা হয়েছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেডিএ’র সচিব ও পরিচালক-এস্টেট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বদিউজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্লট একত্রিকরণ এবং বিভাজনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মূল মালিকদের উপস্থিত হতে হবে। স্বাক্ষর জাল করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম