Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

বছর শেষে দৃশ্যমান হবে গণগ্রন্থাগারের নতুন ভবন

Icon

হক ফারুক আহমেদ

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বছর শেষে দৃশ্যমান হবে গণগ্রন্থাগারের নতুন ভবন

রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পূর্ণোদ্যমে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের শেষদিকে ভবনটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাড়ে ৬ একর জায়গার ওপর এ ভবনের বেজমেন্ট নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি গ্রাউন্ড ফ্লোরের ছাদ ঢালাই দেওয়া হবে। এভাবেই একে একে নির্মাণ হবে ৯টি তলা। আধুনিক এ গণগ্রন্থাগারে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সুবিধা, ই-লাইব্রেরিসহ শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীদের জন্য আলাদা কর্নার থাকবে পড়াশোনার জন্য। বর্তমানে গুলিস্তানের জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নতুন এ ভবনে স্থানান্তরিত হবে বলে জানা গেছে।

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প গণগ্রন্থাগারের নতুন ভবন। আধুনিক গ্রন্থাগারের সব সুবিধা এখানে রাখা হবে। শিশু, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য আলাদা কর্নার ছাড়াও থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, কনফারেন্স রুম, একটি বড় ও একটি ছোট মিলনায়তন। ঢাকার শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে গণগ্রন্থাগারের নতুন এ ভবনকে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে। তবে ইন্টেরিয়র এবং সাজানোর জন্য নির্মাণের পর আরও ৬ মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। আমরা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সময় চাইব। এদিকে সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, বেজমেন্টের কাজ শেষ করে বর্তমানে গ্রাউন্ড ফ্লোরের ঢালাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। এখানে পুরো জায়গাটি প্রায় ৯ একর। এর মধ্যে সাড়ে ৬ একরজুড়ে ভবন। বাকি জায়গাগুলো সবুজায়ন, পার্কিং, হাঁটার রাস্তাসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হবে। বেজমেন্টের পরে এখানে মূলত একটি ভবনের দুটি অংশ থাকবে। ই-লাইব্রেরির অংশটি পুরো স্টিল দিয়ে তৈরি করা হবে। পুরো ভবনে সিঁড়ি থাকবে ১৪টি।

গণগ্রন্থাগারের প্রতিনিধি রাশেদ ফরহাদ যুগান্তরকে বলেন, আমরা আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যে ভবনের যে স্ট্রাকচার, সেটি দাঁড়িয়ে যাবে।

ভবনটির কনসালটেন্সি ফার্ম হিসাবে কাজ করছে ডিকন এবং কিউবইনসাইড ডিজাইন। রেসিডেন্স ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন রনি এবং ডিকনের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভবনের বিস্তারতি জানান। মাহবুবুর রহমান বলেন, বেজমেন্টসহ ভবনটি ১১ তলার। এখানে ৫০০ ও ৩০০ আসনের দুটি অডিটোরিয়াম থাকবে। ই-লাইব্রেরি ভবন ও মূল ভবনকে সংযোগ করবে একটি প্যাসেজ। গণগ্রন্থাগারের আগের সিঁড়ির আদলে বিরাট সিঁড়ি রাখা হবে প্রবেশমুখে। সব মিলিয়ে আধুনিক ভবনের সব সুবিধা নিয়ে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে একটি হাবের কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ আধুনিক ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে গণগ্রন্থাগারের নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হবে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম