চেয়ারম্যান পদে লড়বেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী
তানজিমুল হক, রাজশাহী
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাত্র শেষ হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। এতে অংশ নেওয়ার জন্য জেলার নয়টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অর্ধশতাধিক প্রার্থী তৎপরতা শুরু করেছেন। অধিকাংশ প্রার্থীই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জন্য হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা থাকবে না।
ফলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরিবর্তন করেছেন তাদের নির্বাচনি কৌশল। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় নেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যেকটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী ও পুরুষ) পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা।
চেয়ারম্যান পদে রাজশাহীর নয়টি উপজেলায় আলোচনায় যারা : গোদাগাড়ীতে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল, গ্রোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান এবং সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতন আলোচনায় রয়েছেন।
তানোরে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া শরিফুল ইসলাম।
পবায় বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, ভাইস চেয়ারম্যান জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা।
মোহনপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোর্শেদ হাসান রঞ্জু, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোহরাব আলী খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য এনামুল হক।
বাগমারায় বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা খাতুন।
দুর্গাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইস্তাজুল ইসলাম বাপ্পী এবং দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।
পুঠিয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিএম হীরা বাচ্চু, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য আসাদুজ্জামান মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক।
চারঘাটে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন। এছাড়া বাঘায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল এবং ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল মাসুদ হোসেন তুহিন।