চট্টগ্রাম-১২ আসন
নৌকা-ঈগল দ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে চায় মোমবাতি
এমএ কাউসার, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে যে কটি আসনে উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, এর মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সামশুল হক চৌধুরীর দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। হামলা-মামলা, ক্যাম্প-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই প্রার্থী ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে চাইছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী ও দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন। মোমবাতি প্রতীক নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন। বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করলেও তারা দুজনই একই দলের। কিন্তু নির্বাচন ও ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে একই দলের দুই নেতা যেভাবে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন, নৌকার প্রার্থী যেভাবে ঈগলের প্রার্থীকে ঘায়েল করছেন মাঠে-ঘাটে, তাতে সাধারণ ভোটাররা অন্ধকার দেখছেন। আর সেই অন্ধকারে ‘মোমবাতির’ আলো জ্বালাতে চান ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী।
২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিন মেয়াদে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছেন। পক্ষান্তরে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনি মাঠে নেমেছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন যুগান্তরকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার মোহে যেভাবে অন্ধ হয়ে গেছেন, একই দলের হয়েও একজন অপরজনকে যেভাবে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠছেন, তা সাধারণ ভোটাররা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। এ কারণে পটিয়ার সাধারণ মানুষ ও ভোটাররা তৃতীয় কাউকে নিতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। সেই তৃতীয়পক্ষ হিসাবে ভোটারদের কাছে মোমবাতি একমাত্র ভরসার প্রতীক হিসাবে আছে।’
পটিয়া আসনে এ তিনজন ছাড়াও আরও পাঁচ প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা সরকার (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এয়াকুব আলী (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী কাজি মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন (চেয়ার), ছৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী (ডাব) ও রাজীব চৌধুরী (সোনালী আঁশ)।