Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ঝিনাইদহ-২ আসনে চলছে মামলা যুদ্ধ

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নৌকার প্রার্থী আদালতে

Icon

মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নৌকার প্রার্থী আদালতে

ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনে হামলা-মামলা গ্রেফতার অভিযোগ, পালটা অভিযোগের মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চলছে। চলছে মামলা যুদ্ধ। এ পর্যন্ত ৬টি মামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে নৌকার প্রার্থী প্রচণ্ড চাপে পড়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে হয়েছে তাকে। এ নিয়ে নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও তার অনুসারীদের অন্তত ৫ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন সভাপতি নির্বাচনি অনুন্ধান কমিটি নির্বাচনি এলাকা ঝিনাইদহ-৮২ (ঝিনাইদহ-২)-এর বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তৌফিকুল ইসলাম। এ খবর জানিয়েছেন আইনজীবী (প্রার্থীর) শামসুজ্জামান তুহিন।

এদিকে ঈগল ও নৌকার প্রার্থীকে ঘিরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে বিবাদ এখন চরমে। যদিও আগে থেকেই জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানা উপদলে বিভক্ত ছিলেন। স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, নৌকার সর্মথকরা মারমুখী আচরণ করে আসছে। থামানো যাচ্ছে না তাদের।

পর্যালোচনাকালে দেখা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু। ওই সময় মাত্র তিন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বর্তমান এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নৌকার প্রার্থী অপুকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হননি তিনি। পরবর্তী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে যান তাহজীব আলম।

দ্বাদশ (১২তম) সংসদ নির্বাচনে অনেকেই দলীয় প্রার্থী হতে লড়াই করেছেন। কিন্ত আবারও নৌকার প্রার্থী হলেন তাহজীব আলম সিদ্দিকী। দলীয় সূত্র বলেছে, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় শফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে চরম বেঈমানি করেছিলেন কাছে থাকা চিহ্নিত নেতাকর্মীরা। কারণ ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অপু তুখোড় রাজনীতিবিদ বিএনপির মসিউর ।রহমানকে পরাজিত করেছিলেন। অপুর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ফুলেফেঁপে ওঠা নেতারা ১০ম সংসদ নির্বাচনে ভিড়ে যায় তাহজীব আলম সিদ্দিকীর দলে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাহজীব আলমের কাছ থেকে যারা সটকে পড়েছেন তারা। ঝুঁকেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের ঈগল প্রতীকের দিকে। ফলে ভোটের সমীকরণ যেমন পালটে যাচ্ছে, তেমনি শাসক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দূরত্ব বাড়ছে। বিএনপি বা ভোট বর্জন করা অন্য দলের লোকজন ভোটের মাঠে না থাকলেও নীরবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মঙ্গল কামনা করে যাচ্ছে না। দীর্ঘ ১০ বছরের বর্তমান এমপি ও তার অনুসারীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড ভোটারদের সামনে চলে আসছে। গুরুত্বপূর্ণ এক অনুসারী বলেন, হলি-ডে এমপিখ্যাত তাহজীবের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে টানতে হাপিয়ে উঠছেন তারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু এবারও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দেওয়া হয়নি তাকে। আরও অনেক নেতা আছেন যারা মনোকষ্টে ভুগছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন। তার ছোট ভাই কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল সদর পৌরসভার বর্তমান মেয়র। ব্যাপক সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সদর পৌরসভা নির্বাচনের আক্রমণাÍক ভূমিকায় থেকে ফল হয়েছে উলটো।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে-প্রান্তরে ঘুরছেন। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হতে মরিয়া হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম