Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

কেসিসির সড়ক বেহাল দুর্ভোগে নগরবাসী

Icon

আহমদ মুসা রঞ্জু, খুলনা

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কেসিসির সড়ক বেহাল দুর্ভোগে নগরবাসী

খুলনা মহানগরীর কয়েকটি সড়কের এখন বেহাল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এই সড়কগুলো নিয়ে যেন একেবারেই উদাসীন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি)। শহরের প্রধান সড়ক হওয়া সত্ত্বেও সংস্কার কাজের ধীরগতিতে উদ্বিগ্ন মানুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে বর্ষা শেষ না হলে মেরামত কাজ করা সম্ভব নয়।

খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে শামসুর রহমান রোড। সিটি করপোরেশন ভবন, জেলা প্রশাসকের দপ্তর, আদালতপাড়া, খুলনা প্রেস ক্লাব, আযমখান সরকারি কমার্স কলেজসহ অধিকাংশ সরকারি দপ্তরে যাওয়ার অন্যতম সড়ক এটি। বর্তমানে সড়কটি নগরবাসীর চলাচলের অনুপযোগী। নগরীর ব্যস্ততম শান্তিধাম মোড় থেকে সড়কটিতে ঢুকলেই মনে হবে অচেনা পরিবেশ। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি করপোরেশনের একটি সড়ক। পানি-কাদায় একাকার। শুকনো মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় অসহায় মানুষ। রিকশা, প্রাইভেটকার ও বাইক নিয়ে সড়কে প্রবেশ করলে কাদায় মাখামাখি। শুকনো মাটিতে পানি মিশে পুরো সড়ক এতটাই পিচ্ছিল যে মানুষ পড়ে যেতে বাধ্য। এরই মধ্যে ওয়াসার স্যুয়ারেজ লাইনের বড় বড় লোহার ঢাকনা উঁচু হয়ে আছে। মাত্র এক কিলোমিটার এই বেহাল সড়কের কারণে দুই পাশের স্যার ইকবাল রোড, শামসুর রহমান রোড, সিমেট্রি রোডে দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। বেহাল অবস্থার কারণে এই সড়কের লিংক রোডগুলো দিয়েও মানুষ চলাচল করতে পারছে না। সড়কটির ৭-৮ মাস ধরেই এই অবস্থা। একটু বালি ফেলা থাকলেও মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হতো না। সড়কটি সংস্কার করছে হোসেন ট্রেডার্স। ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার কাজের ২ বার সময় ও ব্যয় বেড়েছে একবার। পরে সিটি করপোরেশন ঠিকাদারের কাছ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার অঙ্গীকারনামা নিয়েছে। একই অবস্থা নগরীর আহসান আহমেদ সড়কটির। পিটিআই মোড় থেকে পুরাতন যশোর রোড পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন খুঁড়ে রাখা হয়েছে। বালু দিয়ে সমান করা থাকলেও মানুষের দুর্ভোগের কমতি নেই সড়কটিতে। এই সড়কটি সংস্কার করছে স্থানীয় ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমাম হোসেন চৌধূরী ময়না।

এই সড়কের পাশের বাসিন্দা মো. চান মিয়া বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২৩নং ওয়ার্ড। অথচ ওয়ার্ডটির প্রধান দুটি সড়ক দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা। শামসুর রহমান সড়ক দিয়ে তো মানুষ যাতায়াত অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্ভোগের বিষয়ে কেসিসি দেখে না। নগরীর রয়্যাল মোড় থেকে রূপসা ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। সড়কটি সওজ ও জনপথ অধিদপ্তরের। শহরের প্রধান এ সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। অথচ বৃষ্টির আগেই মেরামত করা জরুরি ছিল। কেসিসির মধ্যে সওজের এই সড়কটির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। অথচ কেসিসি কর্তৃপক্ষ সওজের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারেনি। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নাগরিকদের।

সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে সওজ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান বলেন, সড়কটি সংস্কারে প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ঢালাই দিয়ে কাজ করতে সময় লেগেছে। বেশিরভাগ অংশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। বৃষ্টি থামলে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে। বৃষ্টির আগে আগে কেন খুঁড়ে রাখা হলো জানতে চাইলে বলেন, ইলেকট্রিক পোল ছিল রাস্তার ওপর। সেগুলো নিয়ে জটিলতা ছিল। এছাড়া সড়কটি জনবহুল। যে কারণে কাজ শেষ করতে সময় বেশি লাগছে। খালিশপুরের মুজগুন্নি-সোনাডাঙ্গা সড়ক সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়ক ও খালিশপুর গোলচত্বর এলাকা খানাখন্দে ভরা। কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউজ্জামান বলেন, কয়েকটি সড়কে ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলছে। বৃষ্টি থামলে সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম