ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও জেপির প্রেস্টিজ ইস্যু
কাল ভোটগ্রহণ শঙ্কা ও উদ্বেগ
এসএম পারভেজ, পিরোজপুর
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভান্ডারিয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচন ঘিরে ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জেপি) জন্য মানসম্মানের (প্রেস্টিজ ইস্যু)। এ নির্বাচনের জয়-পরাজয় আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। সোমবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) ও জেপি প্রার্থীর (বাইসাইকেল) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল হিসাবে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরপর ছয়বার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারণে বাইসাইকেল প্রার্থীর জয় বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেপির মেয়রপ্রার্থী মাহিম হোসেন পরাজিত হলে বিষয়টি যেমন মঞ্জুর জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু, তেমনই আগামী সংসদ নির্বাচন তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী খসরু জমাদ্দারকে জেতাতে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ উঠেপড়ে লেগেছেন। মহারাজের ছোট ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলামও আপ্রাণ কাজ করছেন। এখানে নৌকার বিজয় হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মহারাজ নৌকার টিকিটে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হতে পারবেন।
এদিকে পৌর নির্বাচন নিয়ে ভান্ডারিয়ার পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। গত রমজানে উপজেলায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে দুই দলের সম্পর্কে চিড় ধরে। তখন থেকে দুই বলয়ে সাপে-নেউলে সম্পর্ক চলে আসছে। ওই ঘটনার জেরে আওয়ামী লীগের দেওয়া মামলায় উপজেলা জেপির সভাপতি আতিকুর ইসলাম উজ্জ্বলসহ ১০ নেতাকর্মী কারাবন্দি রয়েছেন। এ কারণে উভয় দলের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ছবি পোস্ট দেওয়া, পেপার কাটিং, স্ট্যাটাসসহ নানা অমার্জিত বিষয় সামনে আনা হচ্ছে।