Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

কেসিসি নির্বাচন

সব কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে ভোটাররা কৌতূহলী

Icon

নূর ইসলাম রকি, খুলনা

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সব কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে ভোটাররা কৌতূহলী

১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। এ কারণে ইভিএম নিয়ে সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালে কেসিসি নির্বাচনে প্রথম ২৪নং ওয়ার্ডের সোনাপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭নং ওয়ার্ডের পিটিআই জসীমউদ্দীন হল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। এছাড়া একই বছরের শেষ দিকে খুলনা-২ আসনের নির্বাচনে ১৫৭টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়।

ইভিএম নিয়ে একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইভিএমে ভোট নিয়ে উৎসাহ ও শঙ্কা দুটোই রয়েছে। প্রথম ইভিএমে ভোট দেব-এটা উৎসাহমূলক। তবে কিভাবে দেব, সঠিকভাবে দিতে পারব কিনা, ভোট নষ্ট হবে কিনা, অস্বচ্ছতা থাকবে কিনা-এমন নানা ধরনের প্রশ্ন রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। এছাড়া ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে যথেষ্ট প্রচার করা হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট প্রদানের বিষয়ে লিফলেট ছাপিয়ে ভোটারদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, হোয়াসটঅ্যাপসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইভিএমে ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও করে প্রার্থীরা প্রচার করছেন। তবে প্রতিটি মোড়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিও দেখানো হলে ও মক ভোটের ব্যবস্থা করা হলে নতুন ভোটারসহ সবার বুঝতে সুবিধা হতো।

নগরীর দৌলতপুর, খালিশপুর ও খানজাহান আলী থানা এলাকার ভোটারদের কাছে ইভিএমে ভোট এবারই প্রথম। ইভিএম’র বিষয়ে যুগান্তরকে একাধিক প্রার্থী জানান, ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হবে-সেটি ৩১টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে ২৮-৩১ মে ৪ দিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে তিনটি ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। এটা খুব সহজ প্রক্রিয়া। এতে ভোট কারচুপি বা অস্বচ্ছ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটারদের ইভিএম’র বিষয়ে আমরা লিফলেট, মোবাইল ফোনসহ নানা ভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। প্রথমবার যারা ইভিএমে ভোট দেবে তাদের মনে নানা প্রশ্ন তৈরি হলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তারা বুঝতে পারবেন-এটা কতটা স্বচ্ছ ও সহজ প্রক্রিয়া। রিটার্নিং কার্যালয় সূত্র জানায়, ইভিএম নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিশন প্রচার চালিয়েছে। প্রার্থীরাও প্রচার করছেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেসহ প্রায় ২ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ২৮৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হবে। এ জন্য তিন হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেয়র পদে পাঁচজন, ৩১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৬ এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম