বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন
দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত
সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে শুক্রবার তার জন্মদিন পালিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারও করা হয় জাতির পিতার জন্মদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এদিন গোটা জাতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেশব্যাপী দিনটিকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসাবেও উদযাপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতির পিতার সমাধি ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। ধানমণ্ডিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান টুঙ্গিপাড়ায়। সেখানে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে শিশুদের মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, কুরআনখানি, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসাবে সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা নিবেদন : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে রাখা বইয়ে মন্তব্য লেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরটের নজরুল ইসলাম খান।
‘মুজিব আমার পিতা’র উন্মুক্ত প্রদর্শনীর উদ্বোধন : বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’র উন্মুক্ত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে তার জীবনীভিত্তিক বাংলাদেশের প্রথম ফিচার লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’র উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা অবলম্বনে দেশ-বিদেশের নতুন প্রজন্মের শিশুকিশোরসহ সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ অ্যানিমেশন মুভিটি নির্মাণ করে।
বিজিবি : দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঢাকার পিলখানার সদর দপ্তরসহ সারা দেশে সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান।
এদিন বাদ জুমা পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, দেশ, জাতি ও বিজিবির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া সদর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে সীমিত আকারে আলোকসজ্জা এবং দেশের সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে ব্যানার, ফেস্টুন এবং পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। রাতে পিলখানাসহ সারা দেশে বিজিবির সব ইউনিটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যাত্রাবাড়ীতে আলোচনা-দোয়া : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা ও ঢাকা-৫ সংসদীয় আসন এলাকার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এদিন বিকালে সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্নার সভাপতিত্বে ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এসকে বাদলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
আইইবি : রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন হয়। অনুষ্ঠানে আইইবি সভাপতি আবদুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ নেতা বক্তৃতা করেন। তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তাই স্বাধীনতার পর বিশ্ব নেতারা বঙ্গবন্ধুকে রোল মডেল হিসাবে অনুসরণ করতেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আইইবি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হোসাইন, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, মোহাম্মদ আবুল কালাম হাজারী, অমিত কুমার চক্রবর্তী, কাজী খায়রুল বাসার, মোহাম্মদ হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদ, মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া, মোহাম্মদ মেসবাহুজ্জামান চন্দন প্রমুখ।
চাঁদপুরে ১০৩ উপাসনালয়ে প্রার্থনা : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০৩ উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর ও হাইমচরের মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুক্রবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মসজিদগুলোতে বাদ জুমা এবং আসরের নামাজের পর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময় প্রার্থনার আয়োজন করা হয় মন্দির-গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে। এ সময় ওই ১০৩ প্রতিষ্ঠানে তবারক বিতরণ করা হয়।