আদর্শ মানুষ গড়তে মা বাবার ভূমিকা জরুরি: অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি
যমুনা ফিউচার পার্কে ‘উই কালারফুল ফেস্ট’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যমুনা ফিউচার পার্কে শুক্রবার হাজী শাহাব উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি -যুগান্তর
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবে। আমাদের মনে রাখতে হবে-প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আদর্শ ও মানবিক মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সবার আগে মা-বাবাকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকা সবচেয়ে জরুরি।
এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে দুদিনব্যাপী ‘উই কালারফুল ফেস্ট-২০২৩’ শুক্রবার শুরু হয়েছে। এ মেলার উদ্বোধন ও ‘হাজী শাহাব উদ্দিন স্মৃতি বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে সালমা ইসলাম উল্লিখিত কথা বলেন। এ সময় সেখানে ছিলেন নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) ও হাজী শাহাব উদ্দিন স্মৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার নিশা।
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে পার্কের সেন্টার কোর্টে এ মেলা চলছে। শেষ হবে আজ রাত ৮টায়। শুক্রবার মেলায় ৭০টি স্টল ঘিরে ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। নানা ধরনের দেশীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন নারী উদ্যোক্তারা। কেউ নিয়ে এসেছেন পিঠা, কেউ এনেছেন পোশাক, গয়না, জামাকাপড়। আছে চাপাতা ও মধুও। পণ্যগুলো নানারকমের হলেও একটা মিল আছে-তা হলো এগুলো সবই দেশীয় পণ্য। শুধু বেচাকেনাই নয়, সঙ্গে চলছে নেটওয়ার্কিংও। উদ্যোক্তারা একে অন্যের পণ্য সম্পর্কে জানছেন। কীভাবে সেগুলো আরও বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনাও করছেন।
অনুষ্ঠানে সালমা ইসলাম এমপি বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে এ মেলা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে-এটা খুবই আনন্দের। ক্রেতা- বিক্রেতা তথা বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও আনন্দ নিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন। এসব শিক্ষার্থী নিশ্চয় দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
তিনি বলেন, মেলা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানটি যিনি আয়োজন করেছেন তিনি হলেন নারী উদ্যোক্তা, মানবিক মানুষ নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার বাবা হাজী শাহাব উদ্দিন আমার খুব পরিচিত মানুষ। হাজী শাহাব উদ্দিন শিক্ষা, সমাজ ও দেশের কল্যাণে সারা জীবন কাজ করে গেছেন। তিনি মানুষ হিসাবে ছিলেন অনন্য-অসাধারণ।
নিশাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, নিশাও তার বাবার মতো হয়েছেন। শিক্ষা খাত, সমাজ ও দেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শত শত নারী উদ্যোক্তা তৈরি করছেন। তার বাবাকে বাঁচাতে তিনি একটি কিডনি দিয়েছিলেন। বাবাকে কিডনি দিয়ে তিনি যে ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা সমাজে অনন্য হয়ে আছে। নিশা সফল মানুষ, সফল উদ্যোক্তা।
সালমা ইসলাম বলেন, শিক্ষা খাতেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য ভূমিকা রাখছেন। বিনামূল্যে বই প্রদান করছেন। তার হাত ধরে দেশ উন্নয়নের শীর্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নারী ও শিশুবান্ধব। নারী ও শিশুর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সরকারের সহযোগিতা দারুণভাবে সমাজের নারীদের উৎসাহিত করছে। নারীরা নিজ নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ঘরে এবং বাইরেও।
উই’র আয়োজনে সপ্তমবারের মতো বসেছে এই মেলা। মেলা প্রসঙ্গে উই’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, এ ফেস্ট আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের এক মিলনমেলা। আর বাবার নামে স্মৃতি সংগঠন থেকে এবার ১০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তারা তাদের স্টলে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দিচ্ছেন। উদ্যোক্তাদের শিশুদের জন্যও আছে চমৎকার আয়োজন। মেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।