দুবাইয়ে রবিবাসরীয় মহারণ
লড়াইয়ের মধ্যে লড়াই

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচ আজ। মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। একদিনের ক্রিকেটে একসময় ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরাত পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই দাপট অনেকটাই খর্ব হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ছয়টি ওয়ানডের পাঁচটিই জিতেছে ভারত। একটির ফল হয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের শেষ জয় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে প্রচণ্ড চাপে রয়েছে পাকিস্তান। দুদলের তারকাদের ব্যক্তিগত দ্বৈরথের দিকে সবার নজর থাকবে।
রোহিত শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদি
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই দ্বৈরথের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকেন। বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে রোহিতের দুর্বলতা সবার জানা। পরিসংখ্যান বলছে, শাহিনের বিরুদ্ধে ৫৬ বলে ৪৮ রান করেছেন রোহিত। পাক পেসার দুবার আউট করেছেন ভারত অধিনায়ককে। দুজন একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার খেলেছেন। অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে রোহিতের দুর্বলতা এখনো যায়নি, তাই এই লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারেন শাহিন।
শুবমান গিল বনাম নাসিম শাহ
দুজনই তরুণ। তবে দুজনের ক্রিকেটগ্রাফ দুদিকে এগোচ্ছে। ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার সময় ১৫০ কিলোমিটারে বল করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নাসিম। তাকে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রতিভা বলা হচ্ছিল। সেই খ্যাতি আগেই খুইয়েছেন নাসিম। বলের গতি যেমন কমেছে, দলেও নিয়মিত নন। তবে আজ তাকে ছাড়া গতি নেই পাকিস্তানের। শাহিনের পাশে নতুন বলে তাকেই শুরু করতে হবে। অন্যদিকে ক্রমশ নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন শুবমান। একদিনের ক্রিকেটকে নিজের পছন্দের ফরম্যাট বানিয়ে ফেলেছেন। প্রথম ম্যাচেই শতরান করে দলকে জিতিয়েছেন। তার আগে ইংল্যান্ড সিরিজেও শেষ ম্যাচে শতরান করেছেন। দুই ক্রিকেটারের মুখোমুখি সাক্ষাতে একবারও আউট হননি শুবমান।
বিরাট কোহলি বনাম হারিস রউফ
২০২২ টি ২০ বিশ্বকাপে রউফকে কোহলির জোড়া ছক্কা মারার দৃশ্য কে ভুলবে! তবে একদিনের ক্রিকেটে রউফের বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচ বল খেলে দুই রান করেছেন কোহলি। কোহলি খুব একটা ফর্মে নেই। ইংল্যান্ড সিরিজ ও বাংলাদেশ ম্যাচে বড় রান পাননি। পাকিস্তান ম্যাচকে রানে ফেরার মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগাতে পারেন। রানে ফেরা আটকানোর ভার থাকবে রউফের কাঁধে। তবে খরুচে বোলার হিসাবে পরিচিত রউফকে নিজের সেরাটা দিতে হবে।
মোহাম্মদ শামি বনাম বাবর আজম
একদিনের ক্রিকেটে এখনো শামি বল করেননি বাবরকে। আজ দুজনের সাক্ষাৎ হবে। বুমরা না থাকায় নতুন বলে শুরু করছেন শামি। আর বাবর ওপেন করছেন। ফলে শামির বল সামলাতে হবে তাকে। চোট সারিয়ে ফিরে আসা ভারতীয় পেসার আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। অন্যদিকে অর্ধশত রান করেও সমালোচিত হয়েছেন বাবর। ধীরগতিতে খেলে দলকে বিপদে ফেলেছেন বলে দাবি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। ভারত ম্যাচে বাবরের কাছে জবাব দেওয়ার মঞ্চ হতে পারে। তার জন্য আগে সামলাতে হবে শামিকে।
রবীন্দ্র জাদেজা বনাম সালমান আগা
একদিনের ক্রিকেটে মাঝের দিকের ওভারের গুরুত্ব অপরিসীম। জেতা-হারা ঠিক হয়ে যায় এই সময়েই। আর সেই ওভারগুলোতেই বল করেন জাদেজা। বাংলাদেশ ম্যাচে উইকেট পাননি ঠিকই। কিন্তু ওভারপ্রতি চারের সামান্য বেশি রান দিয়েছেন। ব্যাটারদের রানের গতি আটকে দেওয়ার জন্য জাদেজার বল কার্যকরী। প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতেও খেলে দিতে পারেন। একই দায়িত্ব পাকিস্তানের সালমান আগারও। আগের ম্যাচে মাত্র তিন ওভার বল করেছেন। তবে ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে এই দ্বৈরথে এগিয়ে থাকবেন জাদেজা।