পাবনায় এডির দৈনিক আয় আড়াই লাখ
পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছে দুদক
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ঘুস লেনদেন, দালালের বিশেষ সিলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ জনভোগান্তির নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংস্থাটির পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধরের নেতৃতে একটি বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে এসব প্রমাণ পায়। সাধন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের বিশেষ সখ্য রয়েছে। দালালদের মাধ্যমে যেসব কাগজপত্র অফিসে আসে, সেগুলো দ্রুত করে দেওয়া হয়।
এছাড়া ঘুস লেনদেন, দালালের বিশেষ সিলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এসব বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। সূত্র জানায়, দালালির টাকা থেকে প্রতিটি পাসপোর্ট বাবদ সহকারী পরিচালক (এডি) নেন ১ হাজার টাকা এবং অফিসের যার মাধ্যমে কাগজ জমা হয় তিনি পান ২শ টাকা। প্রতিদিন এখানে ২শ থেকে আড়াইশ পাসপোর্ট জমা হয়। সে হিসেবে সহকারী পরিচালকের আয় প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এডি আহসান উদ্দিন বলেন, এখানে কোনো দালাল চক্র নেই। সব নিয়মিত পরিচালনা হয়ে থাকে।
