
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৬ এএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আধিপত্য বিস্তার, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইয়াবা বিক্রিতে বাধা, পটুয়াখালীর বাউফলে মসজিদের পাশে গানবাজনা এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নারীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের চরফুকরায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই এলাকার শহিদুল খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভুলু মুন্সীর বিরোধ চলে আসছিল। গত দুই সপ্তাহ আগেও দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় সমঝোতা হয়। বুধবার মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের সামনে ফের দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইয়াবা বিক্রিতে বাধা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকালে সংঘর্ষে উপজেলার শাহমুল্লুকদী গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শাহমুল্লুকদী গ্রামের আবু ফয়সাল মোল্লা জানান, গ্রামের বেলায়েত মুন্সির ছেলে আরিফ মুন্সি ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করে আসছে। রমজান মাসে আমার ভাই মনি মোল্লা আরিফ মুন্সিকে ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করতে নিষেধ করেন। এ ঘটনার জের ধরে ঈদের দিন (সোমবার) রাত ৯টার দিকে মনি মোল্লাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইয়াবা বিক্রেতা আরিফ, রুবেল, ইমরান, বেলায়েত, শাখাওয়াতসহ আরও কয়েকজন চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার বিকাল থেকে মনি মোল্লার বাবা টুকু মোল্লা ও আরিফ মুন্সির দলের শাফি মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালের দুপাড়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় দুপক্ষের ২৫ জন আহত হন। পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামে মসজিদের পাশে গানবাজনাকে কেন্দ্র করে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সোহরাব হোসেন, ইউসুফ মৃধা ও তার ভাতিজা নাসির মৃধাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কায়না জামে মসজিদের কাছে গানবাজনার আয়োজন করা হয়। ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি চুন্নু মৃধার উদ্যোগে আয়োজিত গানবাজনা রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে। মসজিদের পাশে এ গানবাজনার আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই এলাকার মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। মুসল্লিরা মসজিদের কাছে গানবাজনা না করার জন্য চুন্নু মৃধাকে অনুরোধও করেন। কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে গানবাজনার বিষয় নিয়ে সোহরব মৃধা, ইউসুফ মৃধা ও নাসির মৃধার সঙ্গে চুন্নু মৃধার তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে চুন্নু মৃধার নেতৃত্বে দুলাল, লিটন, মজিবর, জসিম, উজ্জলসহ ১০-১৫ জন তাদের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী ও হামলার শিকার উভয়পক্ষই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নারীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে হামলায় গোসাইরচর গ্রামের পাভেল নামে এক যুবক আহত হন। পাভেল আহত হওয়ার খবর গোসাইরচর গ্রামে পৌঁছলে গ্রামের ৪০-৫০ যুবক গজারিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষের সাতজন আহত হন। আহতরা হচ্ছেন-গজারিয়া গ্রামের মঞ্জু মিয়া, নাহিদ, রাসেল, রাব্বি এবং গোসাইরচর গ্রামের পাভেল, অটোরিকশাচালক রিপন ও মিশুকচালক মতিন। আহত পাভেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।