বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে হামলা-নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যুগান্তর প্রতিনিধিরা জানান : নোয়াখালীর চাটখিলে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার ও কবজি আনোয়ারের সহযোগী রুবেলকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে র্যাব। তার বাড়ি ভোলার বাস্তা এলাকায়। সুনামগঞ্জে অস্ত্রসহ সাজ্জাদুর রহমান সামি নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি জগন্নাথপুরের ইছাহাকপুর গ্রামে। রাঙামাটিতে মীর মো. মোসলেহ উদ্দীন ইমরোজ নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইমরোজ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিনের ছেলে। মাগুরার মহম্মরপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান ও নহাটা ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাব। তারা জুলাই আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুরের সালথায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ মিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি আটঘর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মোল্যার বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি। চাঁদপুরে পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে জামিন নামঞ্জর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন শাহ মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু, বালিয়ার মো. রফিক উল্লাহ পাটোয়ারী, মৈশাদীর নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, হানারচরের আব্দুস সাত্তার রাঢী ও আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন।