
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৫ এএম

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
চাঁদপুর বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেলা কর্মকর্তার কার্যালয়টি চলছে একরকম অভিভাবকহীনভাবে। লোকবল সংকট রয়েছে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে। জেলা সহকারী বন সংরক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলার কর্মকর্তা হিসাবে। যে কারণে জেলা সদরের অফিস বেশিরভাগই কর্মকর্তাহীন থাকে। অফিস সহকারী দিয়ে চলছে কোনোরকম অফিশিয়াল কার্যক্রম। জানা যায়, অফিস থাকলেও এখানে অফিসাররা তেমন থাকেন না, মাঝে মাঝে তারা অফিসে আসেন। অফিসের সামনে পতাকা স্ট্যান্ডে জাতীয় পতাকাও ওঠেনি প্রায় এক মাস। যদিও অফিস সহকারী বলছেন পতাকা উঠানোর জন্য আগের মতো এখন আর চাপ নেই।
চাঁদপুর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের পশ্চিম পাশে গভ. টেকনিক্যাল হাইস্কুল এলাকার উত্তর-পশ্চিম পাশে জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তার কার্যালয়। সুবিশাল এলাকাজুড়ে কার্যালয় ও নার্সারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিতে রয়েছে একটি মাত্র ভবন। যেটি অধিকাংশ সময় থাকে লোকশূন্য। ভবনে কর্মকর্তাদের কক্ষগুলো থাকে তালাবদ্ধ। বড় কর্তার রুমের তালা তো বছরে একবার খোলা হয়, তেমনটাই জানালেন অফিস সহকারী আহম্মদ উল্ল্যাহ।
বন বিভাগের সীমানায় অসংখ্য খালি জায়গা পড়ে থাকলেও দেখা যায়নি নার্সারি ও গাছের চারা। একাংশে কিছুটা নার্সারি থাকলেও যত্নের অভাবে ফলদ ও বনজ গাছের চারা মৃত পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অনেকেই জানেন না বন বিভাগের কার্যালয় কোথায় অথবা তাদের কাজ কী। স্থানীয়রা বলছেন, এখানে বন বিভাগের একটি অফিস আছে এতটুকু জানি, গেটে বড় করে লেখা আছে তো তাই। তবে এই অফিসে কাউকে আসতেও দেখি না যেতেও দেখি না। একজন বয়োবৃদ্ধ লোক আছেন যিনি এসে তালা খুলে ভেতরে বসে থাকেন।
অফিস কক্ষের ভেতরে প্রায় সবকটি কক্ষেরই তালা বন্ধ। একটি রুমে বসে আছেন একজন বয়োবৃদ্ধ লোক। কথা বলে জানা যায়, তিনি এই অফিসের অফিস সহকারী। অফিসের কর্মকর্তারা কোথায় জানতে চাইলে অফিস সহকারী আহম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, জেলা স্যার তো তিন উপজেলার দায়িত্বে আছেন। অন্য আর কর্মকর্তারা কোথায় জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। বন বিভাগের জেলা কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি চাঁদপুরে নেই। শুক্রবারও হাজীগঞ্জ অফিস করছি। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায়ও আমাকে অফিস করতে হয়। তিনি জানান, জেলায় ২০ হাজার বনজ ও ফলদ গাছের বরাদ্দকৃত চারা বিভিন্ন উপজেলায় ভাগ করে দিয়েছি। এসব গাছের চারা ৯ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকে কিনে নিচ্ছেন বলে জানান।