Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত

মেঘনায় যেন জাটকা শিকারের উৎসব

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশ প্রজননের জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় মার্চ ও এপ্রিল এ দুইমাস নদীতে যে কোনো ধরনের জাল ফেলা, মাছ ধরা ও পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি নদীতে জাল ফেলা ও মাছ ধরা হতে বিরত থাকা জেলেদের ভর্তুকি হিসেবে প্রতিমাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার আইন করেছেন মৎস্য বিভাগ।

কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর কমলনগর অংশে ‘জাটকা ইলিশ’ ধরার মহোৎসব চলছে। প্রকাশ্যে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরা এবং স্থানীয় মাছঘাট ও হাটবাজারে এসব জাটকা কেনাবেচা চললেও যেন দেখার কেউ নেই।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নিরবতায় জেলেরা নির্ভয়ে নদীতে জাল পেলে মাছ শিকার করছেন। এতে একদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য হচ্ছে অন্যদিকে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হয়ে ইলিশের ভরা মৌসুমে মেঘনা নদীতে ইলিশ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এব্যাপারে জেলা টাস্কফোর্সের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

সরেজমিন বাত্তিরখাল, কটরিয়া, লুধুয়া, পাটোয়ারীরহাট ও মতিরহাট মাছঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা নদীতে অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ২-৫ ইঞ্চি সাইজের ইলিশের পোনা ‘জাটকা’ আহরণ করছে। সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধের এ সময়ে জেলেরা কারেন্ট জাল, খরচি জাল, বাধা জাল ব্যবহার করে একই সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও ধরছে এবং বিনষ্ট করছে। মতিরহাটের জেলে আবদুল খালেক মাঝি, সফি উদ্দিন মাঝিসহ কয়েকজন জানান, আড়ৎদারদের দাদনের টাকা ও বিভিন্ন দায়-দেনার চাপে তারা নদীতে জাল ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া নদীতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপও কম, যে কারণে নির্বিঘ্নে তারা নদীতে জাল ফেলছেন। এসময় শিকার করা ইলিশ, পোয়া ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদীপাড়ে ডাক হাঁকিয়ে বিভিন্ন বেপারি ও স্থানীয়দের মাঝে নির্ভয়ে কেনা-বেচা করতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবুল কালাম যুগান্তরকে জানান, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতিনিয়তই নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে চারটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করাসহ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তাছাড়া জনবল সীমিত থাকায় অভিযান কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত তুর্য্য সাহা জানান, নদীতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিদিনই তিনি জেলেদের মাছ ধরার নৌকা আটকসহ তাদের ব্যবহৃত জাল পুড়িয়ে দিচ্ছেন। নদীতে অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে আগে থেকেই জেলেরা সটকে পড়েন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম