Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

পুঠিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

Icon

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পুঠিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

পুঠিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অবৈধ সংযোগ, মিটার চুরি এবং ভূতুড়ে বিলে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অফিসে অভিযোগ দিলে তারা বিল কমানো তো দূরের কথা বরং গ্রাহককে বিভিন্ন রকম অযৌক্তিক খারাপ কথা বলে বিদায় করছে।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পুঠিয়া জোনাল অফিসে বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৭৫ হাজার। গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ অফিস প্রতি মাসে উলটাপালটা ভূতুড়ে বিল করে আসছে। এ নিয়ে প্রতিদিন বিল কমানো এবং সংশোধন করার জন্য শত শত গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমায়েত হচ্ছেন। মৌখিকভাবে গ্রাহকরা ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার কিংবা বিল প্রস্তুতকারী প্রধানকে বলছেন। কিন্তু তারা গ্রাহকদের বিল বেশির ব্যাপারে কোনো কথাই শুনতে চাইছেন না, বরং খারাপ ব্যবহার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ সংযোগের ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুৎ অফিসে মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু অবৈধ সংযোগ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, বেশিরভাগ অবৈধ সংযোগ নিয়ে রেখেছেন মৎস্য চাষি এবং মুরগির খামারীরা। এরা পল্লী বিদ্যুতের মাঠকর্মীদের আর্থিকভাবে সুবিধা দিয়ে অবৈধ সংযোগ চালাচ্ছেন। আর্থিক সুবিধা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিচ্ছেন। আর অবৈধ সংযোগের ফলে উপজেলাজুড়ে ভূতুড়ে বিল তৈরি করছে বিদ্যুৎ অফিস। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বর্তমানে সীমিত পরিমাণে মিটার সংযোগ দিচ্ছেন। গ্রাহকের মিটারে কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে মিটার পেতে দীর্ঘ সময় গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুঠিয়া জোনাল অফিসের এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান কর্মকর্তা অফিসে যোগদান করার পর থেকে অনিয়মের ভেতর দিয়ে অফিস চলছে। সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। অপরদিকে এলাকার অনেক স্থানে মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নে ১০ জুলাই রাতে জাহিদ ডাউল, আয়নাল অ্যান্ড আলাল ডাউল মিল এবং আদর্শ ডাউল মিলসহ ছয়টি মিটার একটি চোরচক্র চুরি করে চিরকুটে যোগাযোগ করার কথা বলেছে। প্রতিটি চুরিকৃত মিটার থেকে চোরেরা ৬ হাজার টাকা দাবি করেছে। টাকা নেওয়ার পর মিটার কোথায় আছে তা গ্রাহকদের জানিয়ে দিচ্ছে। মিল মালিকদের বাধ্য হয়ে চোরদের টাকা দিয়ে মিটার নিতে হয়েছে। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কেওড়াজোড়া আশ্রয়ণ থেকে রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মাছ চাষি আলাউদ্দিন মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করছেন-এ অভিযোগ আশ্রয়ণবাসীদের।

ভালুকগাছি ইউনিয়নের শমসের আহাম্মেদ গ্রাহক বলেন, আমার প্রতিমাসে মাত্র ৩০০ টাকা বিল আসে। কিন্তু হঠাৎ কয়েক মাস ধরে এক হাজার টাকা করে বিল আসছে। তারা বলছে, বিল সমন্বয় করা হয়েছে। অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের বলেও আমার কোনো লাভ হয়নি। শমসের আহাম্মেদের মতো প্রতিদিন কয়েকশ বিদ্যুৎ গ্রাহক ভূতুড়ে বিল কমানোর জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আসছেন। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে সবাইকে ভূতুড়ে বিল দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়ার ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার আহসানুল করিম যুগান্তরকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকতার নির্দেশ ছাড়া আমি কোনো কথা বলতে পারব না। গ্রাহকদের সমস্যাগুলো আমাদের কাছে লিখিত আকারে দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম