Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

চরলক্ষ্মী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়

ভবন নির্মাণে ধীরগতি ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৭০ বছরের ৮ কক্ষের পুরোনো পরিত্যক্ত দ্বিতলা ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাঠ ফাঁকা করা হয়েছে ৮ বছর আগে। সেই ফাঁকা স্থানে চার তলা ভবন নির্মাণের জন্য তিন কক্ষসহ একতলা ভবনের ৫০ শতাংশ কাজ করা হয়। চার মাস কাজ করার পর আর কোনো অগ্রগতি নেই। তিন মাস ধরে ঠিকাদারের লোকজন আর আসছেন না। এ অবস্থা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরলক্ষ্মী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের। নতুন ভবনের ছাদ করা হলেও বাকি কাজ না হওয়ায় কাটছে না শ্রেণিকক্ষ সংকট। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। ফলে বিপাকে পড়েছেন ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী ও ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নির্মাণ সামগ্রী। চারতলা ফাউন্ডেশনের নতুন ভবনের জন্য একতলা ভবনের ছাদসহ ৫০ শতাংশ কাজ করা হয়। মাঠে খেলাধুলার যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে ১৩ জন শিক্ষক- কর্মচারীও ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন ভবন না হওয়া ৮ কক্ষ বিশিষ্ট দুতলা পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ছেড়ে আশ্রয়ণকেন্দ্রে পাঠদান করানো হয়। দুটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অফিস রয়েছে।। এরপর থেকে ছাত্রীদের একটি কমনরুমে ক্লাস চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, চারতলা ভিত্তির একতলা ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেভিনিউ প্রকল্প থেকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। রায়পুর শহরের মেসার্স মাসুদ খান ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালে কাজ পায়। ওই বছরের ২১ জুন নির্মাণকাজ শুরু হয়।

২০২২ বছরের মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই ঠিকাদারের লোকজন পাঁচ মাস কাজ করে আর আসছেন না।রায়পুর চরলক্ষ্মী জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ভুলু বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দুতলা ভবন ছেড়ে আশ্রয়ণকেন্দ্রে পাঠদান করতে হচ্ছে। মাসুদ খান ট্রেডার্সের মালিক মাসুদ খান বলেন, যখন দরপত্র হয়, করোনার সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কম ছিল। হঠাৎ রড-সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা কিছুটা বিপদে পড়েছেন। এ ছাড়া কাজের বিপরীতে তিনি বিল করার পরেও সেখান থেকে এক টাকাও দেয়নি। সাব-ঠিকাদার এরশাদ হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করছেন না। এ জন্য কিছুটা অর্থ সংকটও ছিল।

শিগগিরই আবার কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া কাজটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাইনুল হক বলেন, ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। ঠিকাদারকে কোনো বিল দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ঠিকাদার কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম