মামলা জটিলতা
চুনারুঘাটে স্কুলের ভবন নির্মাণ বন্ধ ২৫ বছর
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মামলা জটিলতার কারণে ২৫ বছর ধরে চুনারুঘাট উপজেলার বাসুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ আটকে আছে। হাইকোর্ট থেকে বিদ্যালয়ের পক্ষে ৩ বার রায় হলেও বাধার কারণে নির্মাণ করা যাচ্ছে না ভবন। এ অবস্থায় ছোট একটি জরাজীর্ণ ঘরে ৯২ বছর ধরে পাঠদান চলছে। এতে বিপাকে পড়েছে কোমলমতি কয়েকশ শিক্ষার্থী।
১৯৩১ সালে বাসুল্লা মুন্সিবাড়িতে শুরু হয় বিদ্যালয়ের পাঠদান। ১৯৭৩ সালে সরকারিকরণের পর বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের মধ্যে শিক্ষার চর্চা অব্যাহত রাখতে ১৯৭৭ সালে এগিয়ে আসেন বাসুল্লা এলাকার হাজি মোহাম্মদ হোসেন। তিনি স্কুলের জন্য ৩৪ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসুল্লা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে সেখানে স্থানান্তরিত হয় বিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের আবেদন করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সন্ধ্যা রানী দাশ। তার আবেদনের পর ভবন নির্মাণকাজের উদ্যোগ নেয় উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি)। ভূমির মালিক মরহুম হাজি মোহাম্মদ হোসেন সে সময় স্থানীয়দের নিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ কর্তৃপক্ষকে জায়গা বুঝিয়ে দেন। সে অনুযায়ী ভবন নির্মাণ শুরু হয় এবং বেইজ ঢালাই দিয়ে ১৫টি উঁচু পিলারও নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ শুরুর এক মাসের মধ্যেই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা করেন জমিদাতার দুই ভাতিজা করিম হোসেন ও আমীর হোসেন। জমি দানের ২১ বছর পর তারা হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৯৯৮ সালের ২২ জুলাই মামলা করেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ। এরপর চলতে থাকে মামলা। জেলা থেকে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এর মধ্যে ৩টি রায়ই আসে বিদ্যালয়ের পক্ষে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল স্বপ্না জানান, তিনবার বিদ্যালয়ের পক্ষে রায় পাওয়া গেছে। কাজের উদ্যোগ নিলেই হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে আর নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে না।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী দীপক কুমার দাশ জানান, মামলা জটিলতার অবসান হওয়ার পর বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হবে।
