চিলমারীতে খাল পারাপারে ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
শুকনো মৌসুমে সাঁকো, বর্ষায় নৌকাই ভরসা
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী উপজেলা সদরের সঙ্গে শুকনো মৌসুমে যোগাযোগের জন্য ১০ গ্রাম মানুষের একমাত্র ভরসা এক জোড়া নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বর্ষা এলেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই ১০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে। তখন পারাপারে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলা।
জানা গেছে, চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা মাঠের পাড় ভোলার ছড়া খালের ওপর প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের কিছুদিন পরই পানির স্রোতে রাস্তাসহ কালভার্টটি ভেঙে যায়। পরে ওই স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের নাম করে পুরাতন কালভার্টটি নিলামে বিক্রি করা হয়। অদ্যাবধি ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে স্থানীয় উদ্যোগে ওই স্থানে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়।
যা পার্শ্ববর্তী চরহরিপুর, মাদারীপাড়া, চরমাদারীপাড়া, চরিতাবাড়ী, কারেন্ট বাজার, ডাঙ্গারচর, মণ্ডলেরহাট, পাত্রখাতাসহ ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসার সাঁকো হয়ে উঠে। পরে ওই সাঁকোর পার্শ^বর্তী জায়গায় নাছির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করায় সাঁকোতে উঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে খাল পারাপারের লক্ষ্যে এলাকাবাসী নাছির উদ্দিনের বাড়ির পাশে ঈদগাহ মাঠ থেকে আরও একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। যা কাঠের সাঁকোর সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হয়। শুকনো মৌসুমে এই দুই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে পারলেও বর্ষা এলেই এর কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি সাঁকোতে উঠার রাস্তায় কাদা জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন খাল পারাপারে মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলা।
এলাকাবাসী কাজিম, আব্দুল্লাহ আল রাসেল, লিয়াকত আলীসহ অনেকে ওই এলাকায় একটি সেতু নির্মাণে দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সারা দেশে উন্নয়ন হলেও এই এলাকা একটি সেতুর অভাবে বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে থাকছে। কলেজছাত্রী আতিকা ও রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র আ. খালেক জানান, শুকনো মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারলেও বর্ষা এলে নিয়মিত ক্লাস করতে পারেন না। রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, দ্রুত বাঁশ ও কাঠের সাঁকো দুটি মেরামত করা হবে।
পরবর্তীতে শুকনো মৌসুমে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।