এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাবার সরবরাহে একই প্রতিষ্ঠান ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছে। ফলে নিজের ইচ্ছামতো খাবার দিচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠান। কখনো পচা রুটিও রোগীদের নাস্তায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুপুরের খাবারে ব্রয়লার মুরগিও পরিমাণ প্লেটে পায় না রোগীরা। কোনো রকম এক টুকরো দিয়ে রোগীদের খাবার শেষ করা হয়। রাতেও এক টুকরো মাছ বা ডিম। এভাবেই চলছে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাবার সরবরাহ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী নুরুজ্জামান জানান, ৬ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠান রোগীদের পথ্য সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন। ভোলার সেতু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পথ্য সরবরাহের জন্য কাগজে-কলমে থাকলেও মূলত পথ্য সরবরাহ করছেন লালমোহনেরই লোক। প্রতি মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিল তুলে নিচ্ছেন তারা। আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মহসিন খান জানান, প্রতি রোগীর জন্য দৈনিক ১৭৫ টাকা বরাদ্দ আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০ শয্যার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পথ্য সরবরাহ, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য গোপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত ব্যক্তিদেরই এসব কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বারবার একই প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে আসছে। শনিবার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্রের সিডিউল জমা ও খোলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। নিয়মরক্ষার মাত্র ৩ জন ঠিকাদারের দরপত্র পাওয়া যায় টেন্ডার বাক্সে। অনেকটা গোপনীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করে গোপনেই নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ফরম বিক্রি করা হয়। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শনিবার দরপত্র বাক্সে ফেলা হয়। দুপুর ১টায় দরপত্র খোলা হলেও ৩ জন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, দরপত্রে আর কেউ অংশ নিতে পারেনি কেন সে বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের দেখার বিষয় নিয়মের মধ্যে আছে কিনা।
