
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

অটোটেক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ ট্যারিফ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে, যার প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে গাড়ি শিল্পে। দাম বাড়া, কর্মী ছাঁটাই এবং অনিশ্চয়তা এখন প্রধান আলোচনার বিষয়।
স্টেলান্টিস মেক্সিকো ও কানাডায় কারখানা বন্ধ করে মিশিগান ও ইন্ডিয়ানার ৯০০ কর্মীকে সাময়িক ছাঁটাই করেছে। ব্রিটিশ ব্র্যান্ড জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ট্যারিফের ফলে শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের কাঁধেই বাড়তি খরচ চাপবে।
৩ মে থেকে আমদানিকৃত ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশনের ওপরও কর কার্যকর হলে, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি গাড়ির দামও বাড়বে। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ জানিয়েছে, আগের ট্যারিফ সিদ্ধান্তে মূল চাপ পড়েছে দেশীয় ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর।
ফেরারি, বিএমডব্লিউ, টয়োটা, হুন্দাই, প্রতিটি কোম্পানি নিজ নিজ কৌশলে ট্যারিফ মোকাবিলা করছে। ফেরারি কিছু মডেলের দাম ১০ শতাংশ বাড়ালেও রোমা মডেলের জন্য অতিরিক্ত খরচ নিজেরাই বহন করছে। বিএমডব্লিউ মে মাস পর্যন্ত মেক্সিকোতে তৈরি গাড়ির ট্যারিফ দিচ্ছে নিজে। টয়োটা ও হুন্দাই জুনের আগে দাম বাড়াবে না বলে জানিয়েছে।
ক্রেতাদের মধ্যেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অটো প্যাসিফিকের জরিপ বলছে, ১৮ শতাংশ গ্রাহক ভবিষ্যতের দাম বাড়ার ভয়ে আগেভাগেই গাড়ি কিনছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু মার্কিন গাড়ির ৪০-৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ আমদানিকৃত, তাই দেশীয় উৎপাদন হলেও মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যাবে না। বিশ্লেষক মেল ইউ বলেন, ‘গাড়ি যেখানেই তৈরি হোক, দাম বাড়বেই।’ এ পরিস্থিতি বাজারে চাপ বাড়াবে, আর ভোক্তারা পড়বেন সবচেয়ে বড় চাপে।