
প্রিন্ট: ০৬ মে ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম

জাকির হোসেন সরকার
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বাইকের দীর্ঘস্থায়িত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো :
অনেকেই একাধারে অনেকদিন পর্যন্ত বাইক ফেলে রাখেন। এটা মোটেও উচিত নয়। কারণ একাধারে অনেকদিন ফেলে রাখলে বাইকের ব্যাটারি ডাউন হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ইঞ্জিনের ওপরও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই চার-পাঁচ দিন পর পর বা অন্ততপক্ষে সপ্তাহে একবার বাইকটি স্টার্ট দিয়ে একটু হাই পিকআপে দুই থেকে তিন মিনিট ধরে রাখতে হবে। সম্ভব হলে স্বল্পপরিসরে বাইকটি চালিয়ে আসতে পারেন। এতে করে বাইকের ব্যাটারি চার্জ হয়ে যাবে এবং ইঞ্জিনও ভালো থাকবে।
সকালে সেলফের সাহায্যে বাইক স্টার্ট না করে কিক দিয়ে বাইক স্টার্ট করা উত্তম। এতে বাইকের ব্যাটারির আয়ুষ্কাল দীর্ঘস্থায়ী হবে।
রাইড করার আগে বাইক স্টার্ট দিয়েই চালাতে শুরু করবেন না। বাইক স্টার্ট করে অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই মিনিট মিডিয়াম পিকআপে ধরে রাখতে হবে। যার ফলে ইঞ্জিনের নিচের দিকে জমে থাকা ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে ইঞ্জিনের পার্টসগুলো
ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
অধিক রোদে বাইক পার্ক করা ঠিক নয়। যদি রাখতেই হয় কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা উত্তম। কেননা অধিক রোদের তাপে বাইকের রঙের চাকচিক্যের ওপর একটা প্রভাব পড়ে এবং সিট কভারটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
বৃষ্টিতে বাইক চালিয়ে অনেকদিন একাধারে ফেলে রাখা যাবে না।
এতে করে বাইকের চেইন, বেয়ারিং এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ মরিচা পড়ে ক্ষতি হতে পারে।
বাইকের জ্বালানি ফিলিং স্টেশন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বাইরে থেকে লুজ জ্বালানি সংগ্রহ করা উচিত নয়। কেননা বাইরের লুজ জ্বালানিতে ময়লা থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কারণে যদি ফিলিং স্টেশনে যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে জ্বালানি ফিল্টারে ছেঁকে নিতে হবে।
নির্দিষ্ট সময় পর পর ইঞ্জিন অয়েল পাল্টাতে হবে। ইঞ্জিন অয়েল পালটানোর সময় বাইকের গ্রেড অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ অধিক মাত্রায় ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।