টেসলার চালকবিহীন গাড়িতে রাইড-শেয়ারিং

রিয়াদ হোসেন
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে টেসলা। ২০২৫ সালকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর’ হিসাবে উল্লেখ করে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, জুনে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনে চালকবিহীন রাইড-শেয়ারিং পরিষেবা চালু করা হবে। এ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে টেসলা পরিবহণ খাতে বিপ্লব ঘটানোর পরিকল্পনা করছে।
স্বয়ংক্রিয়তার পথে টেসলার অগ্রযাত্রা : টেসলার নতুন এ পরিষেবা সম্পূর্ণ চালকবিহীন গাড়ির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গাড়িগুলো চলবে অত্যাধুনিক ‘আনসুপারভাইজড’ ফুল সেলফ-ড্রাইভিং (এফএসডি) সফটওয়্যারের মাধ্যমে, যা এখনো বাজারে আসেনি। প্রাথমিকভাবে, টেসলার নিজস্ব গাড়ির বহর দিয়ে এ সেবা চালু করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এটি আরও সম্প্র্রসারিত হবে।
প্রাথমিক বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা : ইলন মাস্ক জানান, ক্যালিফোর্নিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে এ সফটওয়্যার চালু করা হবে। তবে টেসলা গাড়ির মালিকরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি এ স্বয়ংক্রিয় রাইড-হেইলিং নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারবেন ২০২৬ সালের আগে নয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মাস্ক যখন টেসলার ‘সাইবারক্যাব’ প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেন, তখনই এ স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্সি পরিষেবার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, ২০২৫ সালে টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় মডেল ওয়াই এবং মডেল ৩ গাড়ি ব্যবহার করে এ পরিষেবা শুরু করা হবে।
নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ : স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নিরাপত্তা এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। টেসলা কীভাবে এ প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সে সম্পর্কে মাস্ক বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে প্রতিষ্ঠানটি ধাপে ধাপে এ পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করবে এবং ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়াবে।
অস্টিনে টেসলার প্রস্তুতি : সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেসলা অস্টিন শহরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। গাড়ির পারফরম্যান্স, আইনি দিক এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
পরিবহণ খাতে নতুন বিপ্লব : টেসলার স্বয়ংক্রিয় রাইড-শেয়ারিং সেবা সফল হলে এটি বিশ্বব্যাপী পরিবহণ শিল্পের চেহারা বদলে দিতে পারে। স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ব্যবহার যেমন যাতায়াতকে আরও সহজ করবে, তেমনি এটি নিরাপদ এবং কার্যকর পরিবহণ ব্যবস্থার সম্ভাবনাও তৈরি করবে।