পরামর্শ
গাড়ি চালাতে মেনে চলুন সর্বোচ্চ গতিসীমা

জাকির হোসেন সরকার
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রত্যেক দেশেই গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট গতিসীমা রয়েছে। তাই আমাদের দেশেও নির্দিষ্ট গতিসীমা রয়েছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ গাড়িচালকই জাতীয় গতিসীমা সম্পর্কে জানে না। আর এ গতিসীমা সম্পর্কে না জানার কারণে ঘটছে মারাত্মক ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এ ৮ম তফসিল অনুযায়ী গাড়ি চালকদের জন্য গাড়ির শ্রেণি মোতাবেক জাতীয় গতিসীমা নির্ধারিত করা হয়েছে। দেশের গাড়ি চালকরা প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে গাড়ি চালালে এবং জাতীয় গতিসীমা মেনে গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। কিন্তু আমাদের দেশের গতিসীমা লঙ্ঘনের দায়ে চালকের শাস্তির প্রচলন খুব একটা দেখা যায় না। যার ফলে চালক তার ইচ্ছা মতো গতি বাড়িয়ে গাড়ি চালিয়ে থাকেন, গতিসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি মাথায় রাখেন না। দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে জাতীয় গতিসীমা ব্যবস্থা কার্যকরী করতে পারলে যানবাহনের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসত এবং সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেত।
বাংলাদেশ সরকারের মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ৮ম তফসিল অনুযায়ী জাতীয় গতিসীমা নিচে উল্লেখ করা হলো-
* মোটরসাইকেল, কার, মাইক্রোবাস, স্টেশন ওয়াগন চালনার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৭০ মাইল বা ১১২ কিলোমিটার।
* বাস, কোচ, পিকআপ চালনার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩৫ মাইল বা ৫৬ কিলোমিটার।
* মালবাহী ট্রাক, লরি (ভারী মোটরযান) চালনার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ মাইল বা ৪৮ কিলোমিটার।
* ট্রাকটর চালনার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ২৫ মাইল বা ৪০ কিলোমিটার।
আমাদের জাতীয় এ গতিসীমা লঙ্ঘনের জন্য আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে চালকরা তা মেনে চলছেন না। আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, সেটা হলো অধিকাংশ চালকের জাতীয় গতিসীমা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই এবং এ গতিসীমা লঙ্ঘনের জন্য যে শাস্তির বিধান রয়েছে, সেটা তারা জানেন না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেশের প্রত্যেক চালককেই জাতীয় গতিসীমা সম্পর্কে অজ্ঞতা দূর করতে হবে। জাতীয় গতিসীমা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ করা এবং লিফলেট বিলি করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি জাতীয় গতিসীমা মেনে চলার আইনটি কার্যকর করতে হবে।