টিপস
সিনথেটিক ও মিনারেল মবিল কী এবং কেন
জাকির হোসেন সরকার
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল যতটা সহজলভ্য সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল ততটা নয়। যে কারণে ইচ্ছে থাকলেও বাইকে সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন না চালকরা। মফস্বল বা গ্রামেগঞ্জে সিনথেটিক পাওয়া যায় না।
মিনারেল এবং সিনথেটিকের পার্থক্য
মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল অতিরিক্ত গরমের মধ্যে পাতলা হয়ে যায়, আবার ঠান্ডা অবস্থায় ঘন হয়ে যায়। আর সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল অতিরিক্ত গরম পড়লেও পাতলা হবে না এবং অতিরিক্ত ঠান্ডায়ও ঘন হয়ে যাবে না। তাই সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল দীর্ঘস্থায়ী এবং এতে কার্বন ধরে কম।
মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল যখন আমরা ব্যবহার করি, তখন বাইকটি এক হাজার কিলোমিটার চলার পরই মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করে নিতে হবে। কারণ, মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েলের ভেতর যে মলিকোটগুলো আছে, সেগুলো ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে। যে কারণে মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েলের দীর্ঘ স্থায়িত্ব কম হয়ে থাকে। আর সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েলের যে মলিকোটগুলো আছে, সেগুলো একই সাইজের হয়। সেজন্য সিনথেটিক ওয়েল খুব তাড়াতাড়ি ঘনও হয় না এবং খুব তাড়াতাড়ি পাতলাও হয় না। সেজন্য এটি খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তনও করতে হয় না। একটি সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করে তিন থেকে চার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বাইক রাইড করা যাবে, যেটা মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েলে সম্ভব নয়। একটি সিনথেটিক ওয়েলের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে নতুন বাইকের মধ্যে সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করা যাবে না। কারণ নতুন বাইকে এটি ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।