Logo
Logo
×

এশিয়া কাপ

ফাইনাল নাকি হাইলাইটস

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শঙ্কা ছিল বৃষ্টি নিয়ে। ম্যাচ শুরুর আগে সেই বৃষ্টি ৪০ মিনিট ভুগিয়েছে। রোববার কলম্বোয় আকাশের কান্না থামার পর যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা দেখার জন্য শ্রীলংকা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। বৃষ্টি থামার পরই মোহাম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে স্বাগতিকদের উইকেট পড়েছে বৃষ্টির মতো। মাত্র আড়াই ঘণ্টায় সাড়ে ২১ ওভারে শেষ এশিয়া কাপ ফাইনাল। ভারত ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে অষ্টমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে। প্রেমাদাসার গ্যালারিতে কিংবা টিভি সেটের সামনে দর্শকরা সাড়ে সাত ঘণ্টার ম্যাচ দেখতে বসে দেখেছে কার্যত ‘হাইলাইটস’!

শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ওভারে জাসপ্রিত বুমরা যে ভয়ংকর রূপ দেখিয়েছিলেন সেটা আড়াল করে দেন সিরাজ। পাঁচ উইকেট নিতে তার লেগেছে মাত্র ১৬ বল। ওয়ানডেতে ১৬ বলের মধ্যে পাঁচ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার সিরাজ। তার আগে এই কীর্তি ছিল শ্রীলংকার চামিন্দা ভাস ও যুক্তরাষ্ট্রের আলী খানের। তবে সিরাজ যেন মুক্তি দিলেন বাংলাদেশকে। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ওভারেই চার উইকেট নিয়েছিলেন ভাস। একই বছর লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামি। এরপর ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ। এবার শ্রীলংকার মাটিতেই সেই কীর্তি গড়লেন সিরাজ। এশিয়া কাপে সেরা বোলিং ফিগারের কীর্তিতে শ্রীলংকার অজন্তা মেন্ডিসকে ছাড়াতে পারেননি ২৯ বছর বয়সি এই পেসার। এশিয়া কাপে এই ভারতের বিপক্ষেই ২০০৮ সালে করাচিতে মেন্ডিস দেখিয়েছিলেন স্পিন জাদু। মাত্র ১৩ রান নিয়ে তিনি তুলে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। কাল সিরাজ ছয় উইকেট নেন ২১ রানে। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের পর সিরাজ বলেন, ‘উইকেট থেকেই সব হচ্ছিল। বল সুইং করছিল। আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করেছি। বাকি কাজ পিচ করেছে। ব্যাটারদের খেলানোর চেষ্টা করেছি। তাতেই সফল হয়েছি।’

এদিকে বাংলাদেশকে আরও একটি দিক থেকে মুক্তি দিয়েছে শ্রীলংকা। এতদিন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো দলের সর্বনিম্ন রান ছিল বাংলাদেশের। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে স্বাগতিকরা মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়। শ্রীলংকা কাল গুটিয়ে যায় ৫০ রানে। ৫১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ভারতের লাগে ৬.১ ওভার। ভারত জিতেছে ২৬৩ বল হাতে রেখেই। ওয়ানডে ইতিহাসে এরচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জেতার নজির আছে মাত্র পাঁচটি।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম