
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

শাহনাজ হেনা
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
রানি মুখার্জি, শূন্য দশকের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। শুধু জনপ্রিয়ই ছিলেন না, বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তৎকালীন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়িকা ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে কলকাতার সিনেমা ‘বিয়ের ফুল’ দিয়ে বড় পর্দায় পথচলা শুরু তার। বলিউডে তার রাজকীয় অভিষেক ঘটে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ দিয়ে ১৯৯৮ সালে। এ সিনেমায় তার সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন কাজল। প্রথম সিনেমা দিয়েই সাফল্যের মালা গলায় পরে নেন। এরপর আমির খানের সঙ্গে ‘গুলাম’ দিয়ে আলোচনায় থাকলেও প্রাথমিক সাফল্যের পর, পরবর্তী তিন বছর বক্সঅফিসে দৌড়াতে পারেননি খুব। চলেছেন হাঁটি হাঁটি পা পা করে। ২০০২ সালে ‘সাথিয়া’ দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ান। পরের জীবন ছিল তার শুধুই সাফল্যের। তবে এ সাফল্যের মাঝেও তাকে নিরাশ হতে হয়েছে অনেকবার। ব্যর্থতার গ্লানিও বইতে হয়েছে। ক্যারিয়ারে এমন অনেক সিনেমা আছে, যেগুলো ফ্লপ হয়েছিল। কিন্তু এসব সিনেমার জন্য তার আশাবাদ ছিল বেশি। এ কারণেই তিনি ছিলেন হতাশ।
‘সাথিয়া’র পর বেশ দাপটের সঙ্গেই কাজ করছিলেন রানি। কিন্তু এ বছর তাকে হতাশ করে ‘চলো ইশক লড়াই’। গোবিন্দর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা রানি এ সিনেমাটিতে জনি লিভার, কাদের খান, সুনীল শেঠি থাকা সত্ত্বেও সাফল্য পাননি। একই বছরে গোবিন্দর সঙ্গে রানির এটি দ্বিতীয় ফ্লপ সিনেমা। তার আগে গোবিন্দর সঙ্গে ‘প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয় করেন রানি। কিন্তু এটি বক্সঅফিসে সাফল্য নিয়ে আসতে পারেনি। ২০০৩ সালে ‘কলকাতা মেইল’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন রানি। রানির ক্যারিয়ারে ব্যর্থতার আরেক নাম এ সিনেমা। অনেকে নামও জানেননি এর। স্বভাবতই বক্সঅফিস ফলাফল সহজেই বলে দেওয়া যায়, কী ঘটেছিল এ সিনেমার ভাগ্যে। একই বছর অজয় দেবগনের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সুবিধা করতে পারেননি রানি। ‘চোরি চোরি’ নামে একটি সিনেমায় অজয় রানির পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে সোনালি বেন্দ্রেকেও। দারুণ রোমান্টিক গল্পের এ সিনেমাটি দর্শক গ্রহণ করেনি। ওই সময় অভিষেক বচ্চনের সঙ্গেও নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছিলেন এ বাঙালি কন্যা। ‘বাস ইতনা সা খোয়াব হ্যায়’ নামে একটি সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন তারা। সঙ্গে ছিলেন জ্যাকি শ্রফ ও সুস্মিতা সেন। কিন্তু বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এ সিনেমাটি। তবে ২০০২ সালে তার ভাগ্য খুলে দেয় ‘সাথিয়া’। এটি বক্সঅফিসে বাম্পারহিট হয়। বছর দুয়েক আবারও ভালো সময় কাটে রানির।
২০০৬ সালে সালমান খান ও জন আব্রাহামের সঙ্গে রানি কাজ করেন ‘বাবুল’ সিনেমায়। আরও ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এত বড় কাস্টিং থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটি বক্সঅফিসে চলেনি। ২০০৭ সালে আরও একবার ধাক্কা খান এ অভিনেত্রী। সঞ্জয় লীলা বনশালি তার কারিশমাটিক নির্মাণে রণবীর কাপুর ও সোনম কাপুরের অভিষেক ঘটান ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমায়। এ সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রানি। কিন্তু দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করেননি। ২০১২ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার প্যারোডি ফিল্ম ‘আইয়্যা’তে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রানি। এ সিনেমার গান জনপ্রিয় হলেও সিনেমাটি দর্শক গ্রহণ করেনি। উলটো এতে রানির অভিনয়ের সমালোচনা করেছেন অনেকে। তবে রানির জন্য সবচেয়ে কষ্টের হচ্ছে ২০২১ সাল। কারণ এ বছর তিনি পড়তি ক্যারিয়ারে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ২০০৫ সালে ‘বান্টি অর বাবলি’ সিনেমায় অভিনয় করে বেশ সাফল্য পান এ অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের বিদায়ী লগ্নে এ সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তি নির্মিত হয়। আর তখনই সেই রানিকে এ সময় এসে বেশ ধাক্কা খেতে হয়েছে। ২০২১ সালে মুক্তি পায় ‘বান্টি অর বাবলি-২’। দ্বিতীয় পর্বে সাইফ আলি খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রানি। তবে সিনেমাটি বক্সঅফিসে একদম চলেনি।