
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

রিয়েল তন্ময়
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা। বর্তমান ব্যস্ততা, নতুন গান ও ঈদ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* ঈদের আগেই আপনার গাওয়া ‘জ্বিন-৩’ সিনেমার ‘কন্যা’ গানটি বেশ আলোচিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
** শ্রোতা-দর্শকদের পছন্দ হয়েছে এটি সত্যিই ভালো লাগার। এতে আমার সঙ্গে গেয়েছে ইমরান। আমাদের জুটি হিসাবে একাধিক সিনেমার গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এ গানটিও আমরা এভাবেই করেছি, উৎসবের একটি ভাইব ছিল গানটিতে। রেকর্ড করার সময়ই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম গানটি উৎসব মাতাবে। প্রকাশের পর সবার প্রশংসা পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। ঈদের সিনেমা ‘জংলি’র ‘বন্ধুগো শোনো’ শিরোনামের গানটি নিয়েও বেশ সাড়া পাচ্ছি। এটিও আমি ও ইমরান গেয়েছি।
* সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে একাধিক আইটেম গান করেছেন যা আলোচনায় রয়েছে। এ ধরনের গানকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নাকি?
** বিষয়টি এ রকম নয়। আইটেম গানের বাইরেও আমি অন্য ধাঁচের গান করেছি। যেমন ‘দিল দিল’, ‘ওহে শ্যাম’, ‘তুই আমার হবি রে’সহ একাধিক সিনেমার গান রয়েছে। তবে এটা সত্যি, সর্বশেষ কিছু সিনেমায় পরপর আইটেম গান করা হয়েছে। ‘ভাইরাল বেবি’, ‘দুষ্টু কোকিল’, ‘প্রেমের দোকানদার’ গানগুলো বেশ সাড়া ফেলেছে। শ্রোতাদের মুখে মুখে ছিল। গানগুলো সময়ের সঙ্গে ছিল বলে সেগুলো সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে, যা সবার কাছে ভাইরাল বলেও পরিচিত। তবে ধারাবাহিকভাবে আইটেম গান গাওয়া আর এভাবে আলোচনায় আসা কোনোটিই পরিকল্পনার অংশ নয়।
* কণা কি তাহলে ভাইরালের ফাঁদে পা দিল?
** লাস্ট কিছু গান ভাইরাল হওয়ার আগে থেকেই আমার গান শ্রোতাদের মুখে মুখে ছিল। কারণ, আমি ক্যাসেটের যুগের শিল্পী। তাই আমাকে ভাইরাল শিল্পী বলা যাবে না। এখন সিডি-ক্যাসেট নেই বললেই চলে। তাই আমরা অনলাইনেই বেশি গান প্রকাশ করি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই শ্রোতাদের কাছে সহজে পৌঁছে যাই। কিন্তু আমি মনে করি, গানের কথা ও সুর যদি ভালো না হয়, তাহলে সে গান বেশি দিন টিকে না। তবে হ্যাঁ, ভাইরালকে খারাপভাবে দেখারও কিছু নেই। এটা এখন সময়ের দাবি।
* মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি নাটক ও সিনেমায় গান করছেন। কোন মাধ্যমে গাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
** প্রথমত আমি শিল্পী, আমার পেশার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল ও মনোযোগী। তাই আমার কাছে মাধ্যমটা মুখ্য নয়। আমার কাছে এটাই মনে হয়, আমি যে গানটি করছি, তা আমার শিল্পী সত্ত্বাকে কতটা তৃপ্ত করছে ও শ্রোতাদের কাছে গানটি কতটা ভালো লাগবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই গান করি। সেটা যে কোনো মাধ্যম হতে পারে। আমার কাজ গাওয়া, নিষ্ঠার সঙ্গে সে কাজটিই করে যাই। তাই চেষ্টা থাকে ফাঁকি না দিয়ে ভালো গান করার।
* এখন নাটকে গান ব্যবহৃত হচ্ছে। আপনিও নাটকের গানে ব্যস্ত। বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন?
** একটা সময় হয়তো নাটকে গান খুব একটা ব্যবহার হতো না। সিনেমার গানগুলোই সাড়া ফেলত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয় বা হচ্ছে। এখন নাটকে গানের ব্যবহার বেড়েছে। তাতে শিল্পীদের কাজের পরিমাণও বেড়েছে। সিনেমার বাইরে নাটকেও এখন অনেক ভালো ভালো কথা-সুরের গান হচ্ছে। সেগুলো আলোচনায় আসছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক বলেই মনে করি।