Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হলমালিকদের সিদ্ধান্তেই মুক্তি পাবে নতুন সিনেমা

Icon

রিয়েল তন্ময়

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হলমালিকদের সিদ্ধান্তেই মুক্তি পাবে নতুন সিনেমা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার বর্তমান করুণ অবস্থায় প্রতিনিয়ত লোকসান দিচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। একটু লাভের আশায় দুই ঈদের সিনেমার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। কারণ ঢাকাই সিনেমা এখনো ঈদকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আগামী রোজার ঈদেও মুক্তির আলোচনায় আছে শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত ‘বরবাদ’, সিয়াম ও বুবলী অভিনীত ‘জংলি’, মোশাররফ করিম ও তাসনিয়া ফারিণের ‘ইনসাফ’, সজল ও নুসরাত ফারিয়ার ‘জিন-৩’সহ একাধিক সিনেমা। ঈদে বিগকাস্টিংয়ের এ সিনেমাগুলোর দিকেই তাকিয়ে আছেন হলমালিকরা।

কারণ, বছরের অন্য সময় সিনেমা চালিয়ে স্টাফদের বেতন তো দূরের কথা বিদ্যুৎ বিলও উঠে না-এমনটাই অভিযোগ প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করলেও এর কোনো সামাধান পাচ্ছেন না তারা। এরমধ্যে মানহীন সিনেমা মুক্তি পাওয়াতে সিনেমার প্রতি দর্শক আগ্রহ আরও কমছে। এ অবস্থায় কঠিন আন্দোলনের দিকেই যাচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের সংগঠন ‘চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি’। সম্প্রতি দেশি সিনেমা মুক্তি ও বিদেশি সিনেমা আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক সাধারণ সভায় ত্রিশেরও অধিক প্রেক্ষাগৃহ মালিক এক হয়েছেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ও সিনেমা মুক্তিতে শৃঙ্খলা আনতে ‘ফিল্ম রিলিজ কমিটি’ গঠন করা হয়। মুক্তি পাওয়া সিনেমার মধ্যে কোনটি ভালো চলবে সেটি বিবেচনায় নিয়েই তারা এখন থেকে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করবে বলে জানায়। আর এ সিনেমা বাছাইয়ের কাজ করবে তৈরি করা রিলিজ কমিটি। এ কমিটি সিনেমা আমদানির বিষয়েও কাজ করবে।

এ সভা প্রসঙ্গে লায়ন সিনেমা হলের কর্ণধার মির্জা আব্দুল খালেক বলেন, ‘উপস্থিত প্রেক্ষাগৃহের মালিক ও প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে সিনেমার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এ কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ৫০ জন মালিক লিখিতভাবে এক হয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েই পাঁচ থেকে সাতজনের কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে সিনেমা মুক্তি দেওয়া হবে।’

কমিটির কার্যক্রম নিয়ে খালেক আরও বলেন, ‘কমিটির কাজ হবে সিনেমা সিলেকশন করা, মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ওটিটির জন্য নির্মিত কনটেন্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিতে বাধা দেওয়া এবং সিনেমা আমদানি করা।’ শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি করে কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘সিনেমা সেন্সরের পর পরিচালক-প্রযোজক রিলিজ কমিটির কাছে আবেদন করে জানাবে তারা কত তারিখে সিনেমাটি রিলিজ দিতে চায়। আমাদের রিলিজ কমিটি তখন সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করে মুক্তি দিবে।’

রিলিজ কমিটির জন্য সরকারি অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি। এটা বিবেচনাধীন রয়েছে। হয়তো শিগগিরই অনুমোদন পেয়ে যাব। তবে আমাদের যেহেতু লাইসেন্স আছে সেক্ষেত্রে আমাদের আইনি অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।’

সাধারণ সভায় প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা সিনেমা আমদানির বিষয়ে জোর দেন। ঈদের বড় বাজেটের সিনেমার ফাঁকে প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে সিনেমা আমদানি করতে চান তারা এবং দাবি আদায়ে একতাবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার কথাও জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত মালিকরা।

এ বিষয়ে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সের মালিক রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে সিনেমা আনব। এনে তা সেন্সর বোর্ডে জমা দিব, সেন্সর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে সিনেমাটি চলার মতো কি না। সিনেমা ব্যবসা নেই, সারা বছর সিনেমা নেই, ঈদে দুই একটি সিনেমা আসে। আমরা কীভাবে টিকে থাকব?’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম