জুয়েলের মৃত্যুতে শোকে ভাসছে সংগীতাঙ্গন

আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শিল্পী আবিদুর রেজা জুয়েলের মৃত্যুতে শোকে ভাসছে দেশের সংগীতাঙ্গন। তার এ মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের সংগীতাঙ্গনের মানুষ। গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, জুয়েল আমার বন্ধু, এই মৃত্যু ভীষণ বেদনার। ‘দূরবীন’ ব্যান্ডের শিল্পী শহিদ বলেন, জুয়েল ভাই আমাদের নানাভাবেই অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছেন। একে একে আমাদের তারাগুলো নিভে যাচ্ছে। ব্যান্ড সংগীতের একটা প্রজন্ম পর পর চলে যাচ্ছে মন্তব্য করে অবসকিউর ব্যান্ডের দলপ্রধান সাঈদ হাসান টিপু বলেন, জুয়েল ভাইকে বিদায় জানাচ্ছি, এখন তিনি তো মিশে যাবেন। তাদের যে কন্ট্রিবিউশন, সেটি সংরক্ষণের উদ্যোগ রাষ্ট্রকে নিতে হবে। ২০১১ সাল থেকে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জুয়েলের চিকিৎসা চলেছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শরীর খারাপ করছিল তার। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট গুরুতর হলে গত ২৩ জুলাই তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
নব্বইয়ে দেশে ব্যান্ড সংগীত নিয়ে যখন তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়, জুয়েল সংগীতজগতে পা রাখেন ঠিক সেই সময়টায়। তার প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।