ঈদে প্রশংসিত হানিফ সংকেতের ব্যবহার বিভ্রাট
আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈদের দিন রাত আটটা পঞ্চাশ মিনিটে প্রচারিত হলো নন্দিত নির্মাতা হানিফ সংকেতের পরিচালনায় নির্মিত নাটক ‘ব্যবহার বিভ্রাট’। মোবাইলের ব্যবহার ও অপব্যবহার নিয়ে ইত্যাদিতে ছোটখাটো নাট্যাংশ অনেকবার দেখা গেছে। এবার সেটা বিষদভাবে দেখা গেছে নাটকে। মোবাইল অপব্যবহারে করা হয় অনেক অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এ মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে একটি পরিবারের কতটা ক্ষতি হতে পারে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে ব্যবহার বিভ্রাটে।
নাটকে দেখা গেছে, জামাল চরিত্রের সৌম্য একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা প্রহরীর কাজে নিয়োজিত। তার ঘরে রয়েছে নববিবাহিত সুন্দরী স্ত্রী জমিলা। কাজে যাওয়ার আগে জামালকে এগিয়ে দেওয়া আর সারাদিন স্বামীর আগমনের প্রতিক্ষায় বসে থাকা এবং দরজার কড়া নাড়ার শব্দে স্ত্রীর ছুটে এসে দরজা খুলে দেওয়া-এসবই এ দম্পতির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু জামালের সুখের সংসারে শত্রু হয়ে দেখা দেয় মোবাইল ফোন। একই গার্মেন্টেসের সুপারভাইজার ইন্তেখাব দিনারের মোবাইল আসক্ত স্ত্রী পুতুলের কু-পরামর্শে একসময় জামালের স্ত্রী জমিলাও মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অল্প বয়সের জমিলা টিকটকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদের দেখাদেখি শুরু করে টিকটকে উদ্ভটভঙ্গিতে নাচ। একসময় জমিলা হয়ে যায় জানু বেগম। অনেকের ভালোবাসার পাত্রী হয়ে যায় জামালের ভালোবাসার স্ত্রী জমিলা। ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাদের মধ্যে। ফেসবুকের মাধ্যমে একসময় এক তরুণ যুবকের ফাঁদে পড়ে জমিলা। জমিলার ভাষায় সে তার ফেসবুক ফ্রেন্ড। হাতেনাতে ধরে ফেলে স্বামী জামাল। স্ত্রীর এ অবস্থা দেখে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সে। একসময় ফেসবুক বন্ধুর প্ররোচনায় ঘর ছেড়ে চলে যায় জমিলা। চিঠি লিখে রেখে যায়, জামালের সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়। কারণ মোবাইল তার চোখ খুলে দিয়েছে। নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে জামাল।
প্রতিবেশী করিমের কোলে মাথা রেখে কাঁদতে থাকে সে, পর্দায় ভেসে ওঠে-‘প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে কিন্তু দিনে দিনে তার অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। নোংরামি ছড়িয়ে পড়ছে সমাজে। মিথ্যার আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে সত্য। নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে হাজারো মানুষ। এ প্রযুক্তির কালো থাবায় ভেঙে যাচ্ছে জামাল ও জমিলার মতো অসংখ্য সংসার।’ এ নাটকের সার কথা হচ্ছে, মোবাইল যতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোক না কেন, তার সঠিক ব্যবহার করতে না পারলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়তেই থাকবে। তাই এসব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যহার সম্পর্কে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।