Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

বলিউড কমেডিয়ান জনি লিভারের আক্ষেপ

Icon

আনন্দনগর ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বলিউড কমেডিয়ান জনি লিভারের আক্ষেপ

একটি সিনেমায় শুধু যে প্রেম-রোমান্স আর মারামারি থাকবে বিষয়টি এমন নয়। অথবা উপাদানগুলো যে রাখতেই হবে তাও নয়। তবে একটি সিনেমাকে আরও বেশি বিনোদনের প্যাকেজ করতে কমেডি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতীয় সিনেমাতে এক সময় কমেডির স্রোত ছিল।

যত সুপার অ্যাকশন সিনেমা হোক না কেন, কমেডি থাকতই। বলিউড সিনেমায় বলা যায় কমেডিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অন্যতম কমেডি আইকন জনি লিভার। উপমহাদেশে কমেডির জন্য অনবদ্য এক অভিনেতা তিনি। সত্তর দশকের শেষ দিকে তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৯৩ সালে ‘বাজিগর’ সিনেমার মাধ্যমে সফলতা পান তিনি। এখন পর্যন্ত ৪০০-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

দিন যত অতিবাহিত হচ্ছিল, ততই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন। দর্শকদের দিয়ে যাচ্ছিলেন নির্মল আনন্দ। তবে বর্তমানে বলিউডে তার মানের কমেডি অভিনেতার কদর নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন এ অভিনেতা।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনি লিভার বলেন, “আমি কাজ কমিয়ে দিয়েছি। কারণ, এখনকার চিত্রনাট্যগুলো খুব দুর্বল। বাজিগরের কথা ধরুন। সিনেমাটির কোনো লেখক ছিল না। আমিই ছিলাম সর্বেসর্বা। সব কমেডি পাঞ্চ আমিই তৈরি করেছিলাম। আমরা কঠোর পরিশ্রম করতাম। অথচ বর্তমানে আমাদের (কমেডি) লেখক নেই। ব্যাপারটি এমন দাঁড়িয়েছে, ‘জনি ভাই দেখে নেবে।’ এভাবে কাজ করা যায় না।”

জনি লিভার আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগে কমেডিকে সম্মান দেওয়া হতো। বর্তমানে সিনেমাগুলোয় কমেডি নেই বললেই চলে। আগে এতটাই ইতিবাচক সাড়া পেতাম যে, সিনেমায় আমার দৃশ্যগুলো হাইলাইট হতো। অনেক সময় শিল্পীরা এটিকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করত এবং আমার দৃশ্যগুলো এডিট করে কমিয়ে দিত।

আমার অংশটুকুর প্রতি তারা দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখত। এমনকি তারা তাদের জন্যও কমেডি দৃশ্য তৈরি করার জন্য লেখকদের বলতে লাগল। লেখকরা কমেডি দৃশ্যগুলো ভাগ করে দিতে শুরু করল, আর আমার চরিত্র ছোট থেকে আরও ছোট হতে লাগল, যা এখন আপনারা দেখছেন। সিনেমায় কমেডি হারিয়ে গেল। হিরো ও ভিলেন এখন হাস্যরসাত্মক হয়ে উঠছেন।

আমার মতো কমিডিয়ানের আর প্রয়োজন নেই।’ সর্বশেষ এ অভিনেতা ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর রোহিত শেঠির ‘সার্কাস’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম