হ্যালো...
মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক আনন্দের
হাসান সাইদুল
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তাহসান খান। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। শুরুতে গান করলেও মাঝে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ইদানীং অভিনয়ে আর খুব একটা সময় দেবেন না বলে জানিয়েছেন। নতুন গান তৈরি ও স্টেজ শো নিয়েই থাকতে চান। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি
* আবারও দুই বছরের জন্য ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হলেন। কেমন লাগছে?
** খুব ভালো লাগছে। আর এটি অবশ্যই ভালো লাগার একটি কাজ। ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত হিসাবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। আমি এটা ভেবে আনন্দিত, সামনের দিনগুলোতেও শরণার্থীদের জন্য আমার কাজ চালিয়ে যেতে পারব। আশা করি, ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে আমি শরণার্থীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারব।
* শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব ও গান একসঙ্গে চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হবে না?
** কোনো সমস্যা হবে না। সত্যিকার অর্থে ভালোলাগার কাজগুলো মনোযোগ দিয়ে করা হয়। একসঙ্গে আনন্দের সঙ্গেই কাজ শেষ হয়। আমি যেহেতু গানের মানুষ, এটি আমার নেশা এবং পেশা। অন্যদিকে জনসেবামূলক কাজ তেমন কোনো চাপ মনে করি না। আমি তো মানুষ। মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক আনন্দের।
* বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
** এখন পুরোদমে নতুন গান তৈরি ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত আছি। কিছুদিন আগে ‘সেই তুমি কে’ শিরোনামে নতুন একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে গানটির দর্শকপ্রিয়তা তত বাড়ছে। এ সপ্তাহে প্রকাশ হলো ‘হারাই বহুদূর’ শিরোনামের আরও একটি গান। এটিও দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে প্রশংসা পাচ্ছে। পাঁচটি জেলায় কনসার্ট করছি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের কনসার্ট শুরু হয়েছে। সামনে আরও চারটি জেলায় কনসার্ট করব। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মাঝেই দিন যাচ্ছে।
* এখন গান কেমন হচ্ছে বলে মনে করেন?
** ভালো-মন্দ মিলিয়েই গান হচ্ছে। সবাই তো ভালো করার চেষ্টা করছেন। তবে সব সময়ই যে ভালো হয় তা কিন্তু নয়। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের গান। প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে গানের প্রচার যেমন সহজ হয়েছে তেমনই আমাদেরও ভালো করার জন্য আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।
* আপনার তো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে তো অনেকদিন আপনি অনুপস্থিত...
** আসলে এখন আর সে সময় নেই ইউটিউবে কাজ করার। একটা সময় নিয়মিত ছিলাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মন বদলে যেতে কতক্ষণ। আমার বেলায়ও তাই। তবে কাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ছেড়েছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হচ্ছি। কিন্তু একেবারেই শোবিজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছি না।